বিষাক্ত কেমিক্যালে হ্যান্ডস্যানিটাইজার তৈরির চক্র চট্টগ্রামে, টাকা দিলে পৌঁছে যায় জায়গামতো

গোয়েন্দার টোপ খেয়ে ধরা মূল হোতা

মোবাইলে ফোন করে অগ্রিম টাকা বিকাশ করলেই চট্টগ্রামের অলিতে-গলিতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে নকল হ্যান্ডস্যানিটাইজার ও সুরক্ষাসামগ্রী। তবে এসব সামগ্রী নগরীর একটি নির্দিষ্ট জায়গা থেকে আনতে হয় ক্রেতাদের। নকল জেনেও অধিক লাভের আশায় এসব সামগ্রী বিক্রির উদ্দেশ্যে কিনে নিচ্ছেন বেশকিছু দোকানদারও। গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইয়ের দেওয়া এমন তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার (১১ জুলাই) দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত নগরের জেল রোড এলাকায় অভিযান চালায় জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এ সময় নকল হ্যান্ডস্যানিটাইজার ব্যবসার মূলহোতা মানিক ঘোষকে হাতেনাতে আটক করা হয়। এছাড়া অভিযানে মানিক এন্টারপ্রাইজ ও জমজম কেমিক্যাল নামের দুটি দোকান সিলগালা ও দুই দোকান মালিককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এ অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক।

জানা গেছে, ক্রেতা সেজে নকল হ্যান্ডস্যানিটাইজার ও সরক্ষাসামগ্রী বিক্রির মূলহোতা মানিক ঘোষকে ফোন করেন এনএসআইয়ের কর্মকর্তারা। এ সময় মানিক ঘোষ ৮০ লিটার হ্যান্ডস্যানিটাইজার কেনার শর্তে রাজি হয়ে যায়। তবে এনএসআই কর্মকর্তারা তার কারখানায় আসতে চাইলে মানিক ঘোষ তাদের নিষেধ করেন। এক পর্যায়ে তিনি এনএসআই কর্মকর্তাদের একটি দির্নিষ্ট স্থানে আসতে বলেন। মানিক ঘোষের কথা সন্দেহ হলে এনএসআই কর্মকর্তারা বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে জানান। পরে জেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে জানতে পারি জেল রোডের দুটি প্রতিষ্ঠান নকল হ্যান্ডস্যানিটাইজার ও সুরক্ষাসামগ্রী বিক্রি করছে। এছাড়া নগরের কিছু এলাকায় কিছু অসাধু ব্যক্তি অতিরিক্ত লাভের আশায় বিভিন্ন প্রকার বিষাক্ত কেমিক্যাল মিশ্রণের মাধ্যমে হ্যান্ডস্যানিটাইজার তৈরি করে বাজারজাত করে আসছে। যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্যে অত্যন্ত ক্ষতিকর। মানিক ঘোষ স্বীকার করেছে সে বিষাক্ত কেমিক্যালের মাধ্যমে হ্যান্ডস্যানিটাইজার তৈরি করছে।

অভিযানে নকল হ্যান্ডস্যানিটাইজার তৈরির মূলহোতাকে আটকের পাশাপাশি দুটি দোকানকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং দোকান দুটি সিলগালাও করে দেওয়া হয়।

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক মো. কামরুল হাসান এবং এনএসআই নগর গোয়েন্দা শাখার কয়েকজন কর্মকর্তা।

সিএম/এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!