বাকলিয়ায় পোশাক শ্রমিক নিহতের ঘটনায় মামলা

চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া থানার কালামিয়া বাজার এলাকায় রুমার আকতার লায়লা (২৮) নামে এক পোশাক শ্রমিক নিহতের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে।

বৃস্পতিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ রহমানের ষষ্ঠ আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়।

মামলাটি দায়ের করেন নিহত রুমার মা হোসনে আরা বেগম। নিহত রুমা আকতার লায়লা নিহত রুমার বাড়ি মানিকগঞ্জের সিংরাইল থানার পাড়ার আবদুল হকের বাড়ির মো. নাদিমের স্ত্রী। বাকলিয়া থানা কালামিয়ার বাজার হাক্কানি বিল্ডিং-এর দ্বিতীয় তলায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।

মামলার অভিযুক্ত হলেন মো. ফারুক, তিনি কোতোয়ালী থানার টেরিবাজার এলাকায় আলিফ কারখানার মালিক। তার ম্যানেজার শুক্কর, মো. রমজান (একই ভবনের ভাড়াটিয়া), তিনি নগরের বাকলিয়া থানার কালামিয়ার বাজার হাক্কানি বিল্ডিং দ্বিতীয় তলার অস্থায়ী বাসিন্দা। মো. আক্কাস ( পুলিশের সোর্স), বাকলিয়া থানার তুলাতুলি এলাকার অস্থায়ী বাসিন্দা। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রাম লোহাগাড়া। ৩০২/৩৪ হত্যা
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. আকিব উদ্দিন চৌধুরী জানান, গত ২০ জুন দুপুর বারটায় অস্থায়ী ভাড়া বাসায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থা রুমার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। রুমার মৃত্যুর বেশ কিছু আলামতের ভিত্তিতে ৩০২/৩৪ ধারায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৫ মে (২০১৯) ঈদের ছুটিতে সবাই কুমিল্লা গ্রামের বাড়িতে যায় রুমার পরিবার। ১৮ জুন মা-দুই ছেলে-মেয়ে রেখে বড় ছেলে ও বিবাহিত ছোট বোনকে নিয়ে চলে আসনে বাকলিয়ায়। ওইদিন সকালে বড় ছেলে খালার সঙ্গে লোহাগাড়ায় চলে যাওয়ায় ওই রাত বাসায় একাছিল রুমা। গ্রামের বাড়ি থেকে রুমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় পরেরদিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাদির ছোট ছেলে সুমন গিয়ে দেখে রুমের দরজা খোলা। তার বড় বোন রুমা সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশকে বলার তিন ঘণ্টার মাথায় লাশ নিয়ে মর্গে পাঠায়।

জানা যায়, নিহতের রুমার দুই ছেলে ও এক মেয়ে। বড় ছেলের নাম মো. আকাশ (১৪)। নুর জাহান তাহফিজুল মাদরাসায় পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। মেজ মেয়ে আখি আকতার (১২) পড়ে স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে এবং ছোট ছেলে পড়ে মো. নাইম (১০) পড়ে একই মাদরাসায় চতুর্থ শ্রেণি পড়ছে। গত ৫ বছর ধরে স্বামী ঢাকায় অটোরিকশা চালান। মাঝে মধ্যে চট্টগ্রামের আসা যাওয়া করতেন।

এদিকে ঘটনার পর নিহত রুমা আত্মহত্যা করেছে বলে বাদির পরিবারকে জানিয়েছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের ১ মাস পার হলে এখনো কোন তদন্ত রিপোর্ট না দেওয়ায় আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়।

এএম/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!