বন্যার শঙ্কা বাড়িয়ে দিচ্ছে হালদা-সাঙ্গু-মাতামুহুরী
বৃষ্টিপাত বেড়ে যাওয়ায় বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন নদীতে পাহাড়ি ঢলে বিপৎসীমার ওপরে উঠে গেছে পানির সমতল। এতে ইতিমধ্যে বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে চট্টগ্রামের ১৪টি উপজেলা ছাড়াও বান্দরবান ও কক্সবাজার। পানিপ্রবাহ বিস্তৃত হয়ে আগামী পাঁচদিনে বন্যাকবলিত এলাকা আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পূর্বাভাস বলছে, বন্যা পরিস্থিতি আরও ব্যাপক আকার ধারণ করে তা ছড়িয়ে পড়তে পারে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের মানদণ্ড অনুযায়ী কোনো নদীর পানির সমতল বিপৎসীমা থেকে ১ মিটারের বেশি ওপরে উঠলে সেই অবস্থাকে ‘তীব্র বন্যা’ বলে ধরে নেওয়া হয়। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, এই অবস্থা দীর্ঘস্থায়ী হবে না। পানি নেমে যেতে কোনো প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি না হলে এক সপ্তাহের মধ্যেই পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের পর্যবেক্ষণ মতে, বর্তমানে ১৫টি নদ-নদীর পানি ২৩টি স্থানে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের হালদার পানি নারায়ণহাটে, সাঙ্গুর পানি দোহাজারী ও বান্দরবানে এবং মাতামুহুরীর পানি চকরিয়ার চিরিঙ্গায় বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বাংলাদেশের সাঙ্গু, হালদা ও কর্ণফুলী নদীতে পানি বেড়ে চট্টগ্রাম জেলার ১৪টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাতকানিয়া, হাটহাজারী, ফটিকছড়ি ও সীতাকুণ্ড উপজেলা। এসব উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। জেলার ১৬টি উপজেলার মধ্যে শুধু মিরসরাই ও সন্দ্বীপ উপজেলা কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, রোববার (১৪ জুলাই) চট্টগ্রাম বিভাগে বজ্রসহ ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। এ কারণে চট্টগ্রাম বিভাগে পাহাড়ধসের শঙ্কাও রয়েছে। এরই মধ্যে পাহাড়ধসে রাঙামাটিতে দুজন নিহত হয়েছেন।
রোববার (১৪ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেওয়া এক পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি বৃদ্ধি পেতে পারে। এক্ষেত্রে গরমও একটু বাড়বে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সবচেয়ে বেশি ২২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে।