চারদিন ধরে বান্দরবানের সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ

বান্দরবান-কেরানীহাট-চট্টগ্রাম সড়কের সাতকানিয়া অংশের বড়দুয়ারা এলাকায় সড়ক পানিতে ডুবে যাওয়ায় বান্দরবানের সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। শুক্রবার (১২ জুলাই) সকাল থেকে চতুর্থ দিনের মত বান্দরবানের সঙ্গে চট্টগ্রামের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বান্দরবান কেরানীহাট সড়কের বড়দুয়ারার এলাকায় প্রায় আধ কিলোমিটার সড়ক ডুবন্ত। মানুষ এ সড়ক দিয়ে ভ্যান ও নৌকা যোগে যাতায়াত করছে। রাস্তার দুই পাশে অসংখ্যা ছোট-বড় গাড়ির জট।
ডুবন্ত সড়ক পার হওয়া ব্যবসায়ী কামাল হোসেন বলেন, ‘এ সড়ক পার হতে গিয়ে কাপড়-চোপড় ভিজে গেছে। বর্ষা আসলেই সড়কটি ডুবে যায়।’

বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা জামাল হোসেন বলেন, তিনদিন ধরে সড়ক ডুবা। ২০ টাকা দিয়ে ভ্যানে করে সড়ক পার হচ্ছি। অফিস তো করতেই হবে।’

পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ঝন্টু দাশ জানান, প্রতি বছর এই সময় আসলে সড়কটি ডুবে যায়। সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রাখতে হয় ।

সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সজীব আহম্মদ বলেন, আগে বান্দরবান কেরানীহাট সড়কের বিভিন্ন অংশে জলাবদ্ধতা দেখা দিত। তবে সড়কটির বিভিন্ন অংশ উঁচু করার কারণে বর্তমানে বড়দুয়ারায় দুটি ও দস্তিদারহাটে একটি অংশে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়।
তিনি আরও বলেন, সওজের তৈরি করা বান্দরবান-কেরানীহাট মহাসড়কটির ২৪ ফুট প্রশস্ত এবং নিচু অংশগুলো উঁচু করা হবে।

বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বান্দরবানের সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ।
বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বান্দরবানের সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ।

এদিকে বান্দরবান পার্বত্য জেলার দুই নদী সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি কমতে থাকায় বান্দরবান সদরের শেরেবাংলা নগর, হাফেজঘোনা, ইসলামপুর, লাঙ্গিপাড়া, ওয়াপদা ব্রিজ, মিসকি সেতু ও বাসস্টেশনসহ নিম্নাঞ্চলগুলোতে ধীরে ধীরে পানি নামতে শুরু করেছে। আর লামা উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি উন্নীত হওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ঘরে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ।

বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শামীম হোসেন জানিয়েছেন, বান্দরবানে ১২৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে । আশ্রয় নেওয়া পরিবারগুলোকে শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!