বদলিকাণ্ড—শিক্ষিকা থেকে ঘুষ নিয়ে চট্টগ্রামের শিক্ষা কর্মকর্তা কারাগারে

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় এক সাবেক উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে দুই বছর ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ৪৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) বিকালে বিভাগীয় বিশেষ জজ মুনসী আব্দুল মজিদের আদালত এই রায় ঘোষণা দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আজিমেল কদর ঢাকার দোহার থানার দক্ষিণ জয়পাড়া এলাকার মৃত হাসান আলীর ছেলে। তিনি ফটিকছড়ি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ছিলেন।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ তাসলিমা আকতার নামে এক শিক্ষিকা যাতায়াত অসুবিধার জন্য বদলির আবেদন করেন। ওই সময় আজিমেল কদর তার কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা নিয়ে আরও ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন। পরে আরও ১০ হাজার টাকায় বনিবনা করেন আজিমেল। পরে শিক্ষিকা তাসলিমা এই বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ করেন।

অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ তাসলিমা থেকে ঘুষের ১০ হাজার টাকা নেওয়ার সময় দুদকের অভিযানে গ্রেপ্তার হন আজিমেল। তার বিরুদ্ধে তৎকালীন দুদক চট্টগ্রাম সাজেকা-২ এর সহকারী পরিচালক নুরুর ইসলাম বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন।

২০২০ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর দুদকের মামলা তদন্ত কর্মকর্তা চট্টগ্রাম সাজেকা-২ এর সহকারী পরিচালক জাফর আহমেদ আদালতে চার্জশিট দেন। পরে ২০২১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচারিক কার্যক্রম শুরুর নির্দেশ দেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষ ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য উপস্থাপন করে।

দুদকের পিপি কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু বলেন, ‘এই মামলার আসামি আজিমেল কদরকে এক বছর ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে এক বছরের কারদণ্ড সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।’

তিনি আরও বলেন, ‘আসামির উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। পরে আপিল দায়েরের শর্তে আসামি পক্ষে জামিন আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন। সাজা পরোয়ানা মূলে আসামিকে কারোগারে পাঠানো হয়েছে।’

আরএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!