ফটিকছড়ি প্রতিনিধি ॥
উপজেলার নানুপুর এলাকায় সুন্নী-কওমী পন্থীদের মধ্যে শুক্রবার বিকালে সংঘঠিত ঘটনার জের ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসন পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করেছে।
এই ঘটনায় নানুুপুর জমিরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কিন্ডার গার্টেনের পরিচালক মওলানা বেলাল উদ্দিন সহ উভয় পক্ষের ২৫ জন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার বিকালে পূর্ব ঘোষিত বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, যুব ও ছাত্রসেনা কর্তৃক আয়োজিত নাজিরহাট পৌরসভার ঝংকার মোড়ে জঙ্গি-সন্ত্রাস বিরোধী ও মাওলানা নুরুল ইসলাম ফারুকীর হত্যার বিজার দাবীতে সমাবেশ ছিল।
সেখানে সংগঠনটির ফটিকছড়ির দক্ষিণ শাখা নেতৃবৃন্দ অংশ গ্রহন করতে ৫ টি চাঁদের গাড়ী (জীপ) নিয়ে নানুপুর আসে। এ সময় রাস্তায় যানজট এড়াতে বিকল্প পথে অর্থাৎ উত্তর নিশ্চিন্তাপুর সড়ক দিয়ে নাজিরহাট যাচ্ছিল । তাদের গাড়ির বহর জমিরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কিন্ডার গার্টেনের সামনে পৌঁছলে গাড়ী লক্ষ্য করে কয়েকজন যুবক ইট-পাটকেল ছুঁড়ে।
এ সময় গাড়ী থামিয়ে ছাত্র ও যুব সেনার কর্মীরা কিন্ডার গার্টেনের পরিচালক মাওলানা বেলাল উদ্দিনের কাছে অভিযোগ করে। তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করলে তাৎক্ষনিক উভয় পক্ষের মধ্যে বাক-বিতন্ডা লেগে যায।
মাদ্রাসার এক ছাত্র বাক-বিতন্ডার ভিডিও চিত্র ধারণ করতে করতে গেলে ছাত্র সেনার কর্মীরা মোবাইল ফোন কেড়ে নিলে সংঘর্ষ শুরু হয়। ঘটনার এক পর্যায়ে কিন্ডার গার্টেনের পরিচালক মাওলানা বেলাল উদ্দিন (৪৫) কে আহত করার সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী ও পাশের ওবাইদিয়া মাদ্রাসার ছাত্ররা এগিয়ে আসে। পরে ক্ষিপ্ত হয়ে যুব ও ছাত্র সেনার কর্মীদের উপর হামলা চালায়।
এমনকি, স্থানীয় জনতা ও মাদ্রসার ছাত্ররা ছাত্র সেনাদের বহন করা ৫ টি জীপ রাস্তার খাদে ফেলে দেয়।
এ হামলায় আহতদের মধ্যে রয়েছেন-মাদ্রাসার পরিচালক মুহাম্মদ বেলাল উদ্দিন (৪৫), জসিম উদ্দিন(৩০), মুহাম্মদ শওকত(২৮), নওশেদ হোসেন (২৫), নিশাদ(২০), শাহজাহান (২৫), নজিবুল হক আজাদ(২৪), জুনায়েদ(১৫), মাদ্রাসার ),দাড়োয়ান মোস্তাফা(৫৮) আবির (২৬), মোস্তাফা আহম্মদ(২৩), আনোয়ার (১৭) একরাম(১৭), বাবুচি মিনহাজ(২২), মুহাম্মদ জাহেদ (২২) ফয়েজ(৩০), হুমায়ুন কবির(১৮)সহ অন্তত:২৫ জন । তাদেরকে চকেম ও নাজিরহাট হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
ঘটনার পর পরই উভয় পক্ষ একে অপরের প্রতি দোষ চাপায়। ফটিকছড়ি থানার পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) বিদ্যুৎ কুমার বড়ুয়া জানায়, এ ব্যাপারে কোন অভিযোগ পাইনি। কোন মামলা হয়নি।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল আলম বাবু, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মশিউদ্দৌলা রেজা, হাটহাজারী সার্কেলের এএসপি মুহাম্মদ লুৎফুর রহমান, ফটিকছড়ি থানার ওসি আবু ইউসুফ মিয়া ও ভূজপুর থানার ওসি একে.এম লিয়াকত আলী ঘটনাস্থল পরির্দশন করছেন।
রিপোর্ট : আনোয়ার হোসেন ফরিদ, ফটিকছড়ি
এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::