পেকুয়ায় শ্যালক দুলাইভাইয়ের মারামারিতে আহত ৩

কক্সবাজারের পেকুয়ায় পারিবারিক কলহের জের ধরে দুলাভাই ও শ্যালকের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। শনিবার (৩১ আগস্ট) দুপুর ১২টায় বারবাকিয়া ইউনিয়নের বারাইয়াকাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে দু’নারীসহ ৩জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন ওই এলাকার বাদশা মিয়ার ছেলে সার্ভেয়ার নুরুল আবছার (৩০), তার স্ত্রী মুন্নি আক্তার (২৫), বড় ভাই প্রবাসী নুরুল হোছাইনের স্ত্রী মিনু আক্তার (৩৫)। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

স্থানীয়রা জানান, সার্ভেয়ার নুরুল আবছার ও তার ভগ্নিপতি শহর মুল্লুকের মধ্যে পারিবারিক বনিবনা চলছিল। পারিবারিক কলহের জের ধরে শ্যালক ও ভগ্নিপতির মধ্যে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয়। ঘটনার দিন দুপুরে শহর মুল্লুকের স্ত্রী রেজিয়া বেগম পিতার বাড়িতে গিয়ে দু’ছোট ভাইয়ের স্ত্রী মুন্নি আক্তার ও মিনু আক্তারকে চড়-থাপ্পড় মারে। এক পর্যায়ে তিন নারীর মধ্যে হাতাহাতি হয়। খবর পেয়ে মুন্নির স্বামী নুরুল আবছার কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে দুলাভাই শহর মুল্লুকসহ ৩/৪ ভাই মিলে নুরুল আবছারকে আক্রমণের চেষ্টা চালায়। এ সময় প্রত্যক্ষদর্শীরা এসে দু’পক্ষের বিরোধ ও উত্তেজনা শান্ত করে। পরে ওইদিন রাত ৮ টার দিকে নুরুল আবছার বারবাকিয়া বাজার থেকে পাউবোর বেড়িবাঁধ দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় ভগ্নিপতি শহর মুল্লুক তাকে হামলার চেষ্টা চালায়। সেখান থেকে সার্ভেয়ার নুরুল আবছার পালিয়ে প্রাণে রক্ষা পান।

নুরুল আবছার বলেন, ‌‘তারা আমার ঘরে আক্রমণ করেছে। আমার স্ত্রী ও ভাবীকে টানা হেঁচড়া ও শারীরিক নির্যাতন চালায়। আমাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। গ্রিল ক্রয় করার ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।’

ইউপি সদস্য বেলাল উদ্দিন বলেন, ‘তেমন মারামারি হয়নি। তবে তিন দফা ধাওয়া হয়েছে। ভাই-বোনের মধ্যে পারিবারিক বিরোধ রয়েছে।’

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!