মাদকের অভিযোগ পেলেই পুলিশের ডোপ টেস্ট

কোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে যদি মাদক গ্রহণের অভিযোগ ওঠে সঙ্গে সঙ্গেই তার ডোপ টেস্ট করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার মো. মাহবুবর রহমান। এই টেস্টে যদি মাদক গ্রহণের প্রমাণ মিলে তাহলে কোন অজুহাত আর তদবিরেই চাকরি রক্ষা করা যাবেনা।

এর আগে তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, কোনো পুলিশ সদস্য যদি মাদকের কারবারে জড়ায় তাহলে তাদের হাতে হাতকড়া পড়ানো হবে।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে নগরীর দামপড়া পুলিশ লাইনস্থ মাল্টিপারপাস সেডে পুলিশের মাসিক অপরাধ সভা ও মাসিক কল্যাণ সভায় এ ঘোষণা দেন সিএমপি কমিশনার।

পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘ভালো কাজের যেমন প্রশংসা করা হচ্ছে, তেমনি পুরস্কৃতও করা হচ্ছে। তেমনি খারাপ কাজের জন্যও তিরস্কারসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাদক কারবারে জড়ালে আগে হাতকড়া পড়ার কথা বলা হয়েছিল। এখন থেকে কোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে যদি মাদক গ্রহণ করার অভিযোগ ওঠে সঙ্গে সঙ্গেই ডোপ টেস্ট করা হবে। সেই টেস্ট যদি পজেটিভ হয় তাহলে কোনো অজুহাত ও তদবিরেই আর চাকরি রক্ষা করা যাবে না।’

সভায় সিএমপির এক পুলিশ কনস্টেবল পুলিশ সদস্যদের নানা মানবিক কাজ ব্যক্তিগতভাবে না করে কেন্দ্রীয়ভাবে করার জন্য একটি ‘পুলিশের মানবিক শাখা’ গঠনের প্রস্তাব দেন।

এ সময় পুলিশ কমিশনার তাতে সম্মতি জানান এবং ডিসির (সদর) নেতৃত্বে একটি কমিটি পুলিশের এসব মানবিক কাজ পরিচালনা করবেন বলে সিদ্ধান্ত দেন। সভায় কমিশনার বিভিন্ন স্তরের পুলিশ সদস্যদের সমস্যার কথা শুনেন এবং তাৎক্ষণিক সমাধানের ব্যবস্থা করেন। সভায় সিএমপি’র সেবা তহবিল হতে পুলিশ সদস্য ও সিভিল স্টাফদেরকে নগদ ১৪ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়।

সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) আমেনা বেগম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) এস এম মোস্তাক আহমেদ খান, সকল উপ-পুলিশ কমিশনার, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, সহকারী পুলিশ কমিশনার, সকল থানার অফিসার ইনচার্জসহ বিভিন্ন স্তরের পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এডি/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!