পিছিয়ে গেল রেলের সেই পরীক্ষা, অনিয়মের আশঙ্কা নাকচ রেল কর্তৃপক্ষের

রেলের স্টেশন মাস্টার গ্রেড পদোন্নতির সেই পরীক্ষা সাত দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। ২৯ এপ্রিল পরীক্ষা শেষ করতেই তোড়জোড়ের অভিযোগ ছিল ৩৫ প্রার্থীর। তবে পরীক্ষায় কোন ধরনের অনিয়মের সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান পরিবহন কমকর্তা ও পদোন্নতি কমিটির আহবায়ক সুজিত কুমার বিশ্বাস।

চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে তিনি বলেন, স্টেশন মাস্টারের সংকটের কারণে দেশের অনেক স্টেশন বন্ধ রয়েছে। স্টেশন মাস্টার গ্রেড-৩ থেকে গ্রেড-২ পদোন্নতি পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল অনেক আগেই। কিন্তু রেলের একটি সিন্ডিকেট পরীক্ষা বন্ধ করতে সক্রিয় ছিল দীর্ঘদিন।

স্টেশন মাস্টার গ্রেড-৩ থেকে গ্রেড-২ পদোন্নতি পরীক্ষা নিয়ে নির্দিষ্ট প্রার্থীদের পদোন্নতি নিশ্চিত করতে নিয়ম অনুসরণ করা হচ্ছে না—এমন অভিযোগ উঠে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান পরিবহন কমকর্তার ও পদোন্নতি কমিটির আহবায়কের বিরুদ্ধে। গুরুত্বপূর্ণ এই পরীক্ষা গ্রহণের কমপক্ষে দুই মাস আগে নোটিশ দেওয়ার নিয়ম থাকলেও মাত্র ১০ দিনের নোটিশে নেওয়া হচ্ছে সেই পরীক্ষা। পরীক্ষার্থীদের মধ্যে প্রায় ৩৫ জন প্রার্থী সময় বাড়ানোর আবেদনও করে।

এ নিয়ে চট্টগ্রাম প্রতিদিনে ২৮ এপ্রিল ‘রেলে অনিয়মের পদোন্নতি পরীক্ষা, ফল আগেই নির্ধারিত! নীতিনির্ধারক দুই কর্মকর্তা নেই, তবু তড়িঘড়ি পরীক্ষার আয়োজন‘ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

প্রার্থীদের এমন অভিযোগের বিষয়ে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান পরিবহন কমকর্তার ও পদোন্নতি কমিটির আহবায়ক সুজিত কুমার বিশ্বাস চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ১৫ দিনের নোটিশেই স্টেশন মাস্টার গ্রেড-৩ থেকে গ্রেড-২ পদোন্নতি পরীক্ষার নিয়ম রয়েছে। এরপরও কিছু পরীক্ষার্থীর আবেদন বিবেচনায় নিয়ে পরীক্ষা আরও এক সপ্তাহ পিছিয়ে ৫ মে নির্ধারণ করা হয়েছে। পরীক্ষা স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও নিয়মতান্ত্রিকভাবেই হবে। অনিয়মের কোনই সম্ভাবনা নেই। বরং পরীক্ষার মাধ্যমেই রেলের স্টেশন মাস্টার সংকট কেটে যাবে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!