‘পাসপোর্ট অফিসে দালাল চক্র’ ১১ জনকে গারদে ভরলেন পুলিশ

সোহেল নামে এক ছাত্রের অভিযোগের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম পাসপোর্ট অফিস থেকে ১১ দালালকে গ্রেপ্তার করেছে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ।

বুধবার (৯ জুন) দুপুরে তাদের আটক করলে ও তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে সন্ধ্যায়।

গা ঢাকা দালালদের সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে কিভাবে পুলিশ পাকড়াও করে থানায় নিয়ে এসে ভরলেন, তা নিয়ে পাসপোর্ট অফিসে সারাদিনই চলেছে কানাঘুষা। অনেকে বলেছেন, এটি একটি সাজানো নাটক। অর্থ লেনদেনে বনিবনা না হওয়ায় তারা এ ঘটনাটি সাজিয়েছেন।

গ্রেপ্তার ১১ জন হলেন- সাইদুল হক (৪১), জাকির হোসেন রাজু (৫০), মো. সাইফুল ইসলাম (৫৮), আমিনুল ইসলাম (৫৬), রফিক আহম্মদ (৪৮), মো. জহির উদ্দীন (৪৮), মোহাম্মদ মিয়া জুনায়েদে (৩৬), মো. মুজিবুল হক সোহেল (৪০), আহম্মদ হোসেন (৪৭), মো. জামাল উদ্দীন (৪১), হাজী মো. শফি (৭০)।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির।

তিনি জানান, সোহেল রানা নামের এক ছাত্র তার বড় ভাইয়ের পাসপোর্টের নতুন বই ইস্যু করতে পাঁচলাইশ অফিসে যান। এসময় কিছু লোক অফিসের গেটে তাদের আটকে রাখেন। সোহেলকে সেইসব দালালধারী ব্যক্তিরা জানান, ১০ হাজার টাকা দিলে তারা তাদের পাসপোর্ট করিয়ে দিবেন। তখন সোহেল মুঠোফোনে থানায় ফোন দেন। ফোন পেয়ে পাঁচলাইশ থানা থেকে ফোর্স ঘটনাস্থলে গিয়েই দালালদের আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।

কিন্তু ওসির এ বক্তব্যর সঙ্গে বাস্তব চিত্রের মিল খুঁজে পাওয়া যায় না। কারণ পাঁচলাইশ পাসপোর্ট অফিসে দালালরা সবসময় গা ঢাকা দিয়ে থাকেন। তাদের দেখে বোঝার উপায় থাকে না তারা দালাল। দালালরা পাসপোর্ট অফিসের আশেপাশে বিভিন্ন ভবনে অফিস বানিয়ে কার্যক্রম চালায়। যাদের খবর শুধু পুলিশেরই জানা আছে বলে জানিয়েছেন পার্সপোর্ট অফিসের একাধিক কর্মকর্তা।

ডেসপাস শাখার একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ প্রতিবেদকে জানান, সম্ভবত দালালদের সাথে অর্থ লেনদেনের বনিবনা না হওয়ায় এ গ্রেপ্তারের নাটকটি সাজানো হয়েছে।

ঘটনাস্থলে গিয়েই ১১ দালালকে কিভাবে ধরা সম্ভব এ প্রশ্নের জবাবে ওসি জাহিদুল কবির বলেন, আমরা কোথাও বলিনি যে, আমরা দালালকে অফিসের ভেতর থেকে ধরেছি। সোহেলকে ছাত্র বললেও তার পূর্ণাঙ্গ পরিচয় জানাতে পারেনি ওসি জাহিদুল কবির।

ওসি আরও বলেন, দুপুরে দালালদের আটক করে আনার পর সন্ধ্যায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আর ভুক্তভোগী সোহেল থানায় মামলা দায়ের করেছে বলেও জানান ওসি জাহিদুল কবির।

আইএমই/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!