পশ্চিম বাকলিয়া উপনির্বাচনের প্রচারণা শুরু, প্রতীক পেলেন ছয় প্রার্থী

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ১৭ নম্বর পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে উপ-নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন ছয় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী। শুক্রবার (১২ জুলাই) সকালে প্রার্থীদেরকে লটারির মাধ্যমে প্রতীক বরাদ্দ দেন চট্টগ্রাম জেলা আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসার ও রিটানিং অফিসার মো. হাসানুজ্জামান।

এতে আজ থেকেই প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) এই ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে আগামী ২৫ জুলাই উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে কোনো প্রার্থী তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। ফলে উপনির্বাচনে ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, ১২টি প্রতীক থেকে লটারির মাধ্যমে ছয় প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রার্থীদের মধ্যে একেএম আরিফুল ইসলাম পেয়েছেন মিষ্টি কুমড়া প্রতীক। অন্যদের মধ্যে মোহাম্মদ শহিদুল আলম ঘুড়ি প্রতীক; মো. মাসুদ করিম টিটু রেডিও প্রতীক; মো. শফি লাটিম প্রতীক; শাহেদুল ইসলাম টিফিন ক্যারিয়ার এবং শেখ নায়েম উদ্দীন ঠেলাগাড়ি প্রতীক পেয়েছেন।

রিটানিং অফিসার মো. হাসানুজ্জামান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘প্রার্থীদেরকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আজ থেকে তারা প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন। প্রার্থীদেরকে নির্বাচনের আচরণবিধি দিয়ে তা প্রতিপালনের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দুপুর দুইটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত প্রার্থীরা মাইকিং, প্রচার-প্রচারণা, জনসংযোগ, পথসভা করতে পারবেন। তবে যে কোন সময় প্রার্থীরা কুশল বিনিময় করতে পারবেন।’

চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডে মোট ভোটার রয়েছেন ৪৯ হাজার ৭৮২ জন; এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২৩ হাজার ৭৩৩ জন এবং নারী ভোটার ২৬ হাজার ৪৯ জন। মোট ভোট কেন্দ্র ১৭টি এবং মোট বুথ সংখ্যা ১২৪টি (অস্থায়ী-২৪টি)। এই উপনির্বাচনে একজন রিটানিং অফিসার, ১৭ জন প্রিসাইডিং অফিসার, ১২৪ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং ২৪৮ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন।

এর আগে গত ২৭ জুন পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়।

দীর্ঘদিন রোগে ভুগে গত ১৭ এপ্রিল পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডের কাউন্সিলর একেএম জাফরুল ইসলাম মৃত্যুবরণ করেন। পরবর্তীতে গত ২৪ এপ্রিল কাউন্সিলর পদটি শূন্য ঘোষণাসহ পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগে দাপ্তরিকপত্র দেয় চসিক। এরপর ১২ জুন ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদটি শূন্য ঘোষণা করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। একই তারিখে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনে পত্র দেয় স্থানীয় সরকার বিভাগ।

প্রসঙ্গত, সিটি করপোরেশন আইন ২০০৯ এর ১৬ ধারায় বলা হয়েছে, সিটি করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার ১৮০ দিন আগে মেয়র বা কোন কাউন্সিলরের পদ শূন্য হলে ৯০ দিনের মধ্যে তা পূরণ করতে হবে। উপ-নির্বাচনের মাধ্যমে যিনি নির্বাচিত হবেন, তিনি সিটি করপোরেশনের অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য ওই পদে বহাল থাকবেন।

এমএ/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!