পতেঙ্গায় দু’পক্ষের জমির বিরোধ থামাতে পুলিশের উঠান বৈঠক

চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গার মুসলিমাবাদ জেলেপাড়া এলাকায় জমির মালিকানা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এ বিরোধ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জায়গার ওপর এবং বাউন্ডারির ভেতর প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় উঠান বৈঠকে আলোচনার মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত নেয় পতেঙ্গা থানা পুলিশ।

পতেঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জাহেদ মো. নাজমুন নূরের সভাপতিত্বে উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (কর্ণফুলী জোন) মো. আরিফ হোসেন।

জানা গেছে, পতেঙ্গা মুসলিমাবাদ এলাকায় ৪ শতাংশ জমির মালিকানা নিয়ে জয়ন্তী রানী দাশের সঙ্গে রাম দাশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। উঠান বৈঠকে জয়ন্তী রানী দাশের পক্ষ দাবি করেন, খরিদ সূত্রে তারা ওই জায়গার মালিক। সব ধরনের কাগজপত্র তাদের কাছে আছে। রাম দাশের পক্ষ তাদের সঙ্গে বিতর্কে জড়ালে পতেঙ্গা থানা পুলিশ, ৪০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা রাম দাশের পক্ষকে ডাকলে তারা কাগজপত্র নিয়ে আসেনি।এরপরও রাম দাশের পক্ষ জায়গা দাবি করে আসছে। যা কথা হবে, কোর্ট হবে।

এ ঘটনায় ক্ষোভ ঝেরে ভুক্তভোগী শিক্ষক প্রণব সরকার বলেন, ‘ব্যাংক লোন নিয়ে জীবনের সর্বস্ব দিয়ে কেনা জায়গায় যেন কাল হয়ে দাঁড়ালো আমাদের। পরিবার নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি আমরা। ঘর থেকে বের হলেই গালাগালি ও হামলার শিকার হতে হচ্ছে। আমাদের কেনা জায়গায় যদি কারো কোনো দাবি ও প্রাপ্য থাকে উপযুক্ত কাগজপত্র নিয়ে আপনারা কোর্টে যান, থানায় যান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধির কাছে অভিযোগ করুন। উপযুক্ত কাগজপত্র কোথাও না দেখিয়ে কেন বার বার জোর করে আমাদের জায়গা দখলের পাশাপাশি হামলা ও হয়রানির শিকার করছেন।’

তিনি বলেন, ‘পূর্বের মালিক যখন এই জায়গার চারপাশে ৭/৯ ফুট বাউন্ডারি দিয়ে নতুন করে দোকান ভাড়া দেয় তখন এই সম্পত্তির দাবিদার বর্তমান ব্যক্তিরা কোথায় ছিল। মোট ৮ শতাংশ জায়গার মধ্যে ৪ শতাংশ জয়ন্তী রানী দাশ এবং বাকি ৪ শতাংশ অভি চৌধুরী ও শ্রাবন্তী চৌধুরীর নামে।’

পতেঙ্গা মডেল থানার ওসি আবু জাহেদ মো. নাজমুন নূর চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘মুসলিমাবাদ জেলেপাড়ায় নিজেদের জায়গা দাবি করে দু’পক্ষের মধ্যে প্রতিনিয়ত বাড়ছে ঝগড়া ও মারামারির মত ঘটনা। এভাবে চলতে থাকলে জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে যে কোনো সময় ঘটে যেতে পারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও প্রাণহানির মতো ঘটনা। এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছি। আদালতের রায় না আসা পর্যন্ত যদি কেউ আইন না মানে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

উঠান বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন এসআই মো. কিরন মিয়া, এসআই মো. সাইফুল আলম, এটিএসআই মো. হারুন অর রশিদ।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!