চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভা নির্বাচনের ১ সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী ও ৫ জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। মনোনয়ন বাতিলের পর আইনি লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছেন প্রার্থীরা। তবে মেয়র প্রার্থী ৪ জনের মধ্যে কারও মনোনয়ন ফরম বাতিল করা হয়নি।
১৯ জানুয়ারি ছিল মেয়র, সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থীদের মনোনয়ন ফরম যাচাই বাছাইয়ের শেষ দিন। যাচাই-বাছা্ই শেষে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি, জাতীয় পার্টি (এরশাদ) এবং ইসলামী ফ্রন্টের সহ ৪ জন মেয়র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার পটিয়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে পটিয়া পৌরসভা নির্বাচনের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাছাই করা হয়।
যাদের মনোনয়ন ফরম যাচাই বাছাইয়ে বাতিল হয়েছেন তারা হলেন, সংরক্ষিত ২ নং ওয়ার্ডের জেসমিন আকতার, সাধারণ ১ নং ওয়ার্ডের মোঃ নাছির, নজরুল ইসলাম, ৩ নং ওয়ার্ডের গোলাম কাদের, ৪ নং ওয়ার্ডের বেলাল উদ্দিন এবং ৬ নং ওয়ার্ডের রুবেল দাশ।
সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাচন অফিসার আরাফাত আল হোসাইনী জানান, মনোনয়নপত্র গ্রহণ বা বাতিলের বিরুদ্ধে আগামী তিন দিনের মধ্যে (২২ জানুয়ারি পর্যন্ত) আপিল করা যাবে। চট্রগ্রাম জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করে আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করা হবে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ আগামী ২৬ জানুয়ারি। আর ভোট গ্রহণ ১৪ ফেব্রুয়ারি।
উপজেলা রির্টানিং অফিসার আরও জানান, যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে তাদের বেশির ভাগই ঋণখেলাপি ও অসম্পূর্ণ মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আজ মনোনয়নপত্র বাতিলের পর পটিয়া পৌরসভা নির্বাচনে ৯টি সাধারণ ওয়ার্ডের বিপরীতে ৪১ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৮ জন বৈধ কাউন্সিলর প্রার্থী রইলেন। এর আগে রবিবার ১৭ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল। ওই সময়ে মেয়র পদে ৪ জন এবং সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী ৫৫ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পর মেয়র প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনের আশা প্রকাশ করেন।
মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণার পর আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আইয়ুব বাবুল বলেন, ‘আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন সুষ্ঠু ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে বলে আশা করছি। আমি মনে করি, সবার অংশগ্রহণে একটি উৎসবমুখর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি পটিয়া পৌরসভার বাইকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানান। এছাড়া কমিশনের নিয়ম-কানুন মেনে প্রচারণা চালানোর জন্য তার দল ও নির্বাচনী কার্যক্রমে যারা অংশ নেবেন তাদের প্রতি অনুরোধ জানান।
বিএনপি প্রার্থী নুরুল ইসলাম সওদাগর বলেন, আইয়ুব বাবুল আমার প্রতিদ্বন্দ্বী। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ভোটাররা অবশ্যই ভোটকেন্দ্রে আসবেন। এসময় তিনি পৌরসভার ভোটারদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, এটি আপনাদের অধিকার, আপনারা প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে আগামীতে আপনাদের প্রার্থী নির্বাচন করবেন। তিনি আরো বলেন, ভোট হচ্ছে নাগরিক অধিকার। প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে ভবিষ্যতে আপনাদের প্রার্থী নির্বাচন করবেন। আমি প্রতিজ্ঞা করছি নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলব।’
মনোনয়নপত্র বাছাই অনুষ্ঠানে প্রার্থীদের আচরণ বিধি মেনে চলতে অনুরোধ জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা আরাফাত আল হোসাইনী বলেন, আপনারা আচরণবিধি মেনে চলবেন। নির্বাচন হবে ফেস্টিভ মুডে। সে জায়গা যাতে কখনই সংঘর্ষে রূপ না নেয়। তবে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের বাইরে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীর ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। করোনাকালে কোথাও কোন সামাজিক দূরত্ব কিংবা স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি।
কেএস