নোবেলের এবার পৌনে ২ কোটি টাকার জমি জব্দ

কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর জাবেদ মো. কায়সার নোবেলের এবার ১ কোটি ৬৭ লাখ ১১ হাজার টাকার ১.০১১১ একর জমি জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইতোপূর্বে ২০ কোটি ৮০ লাখ টাকা ও কক্সবাজার শহরে ৪টি ফ্ল্যাটও জব্দ করা হয়েছে তার।

রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজার শহরে অভিযান চালিয়ে জাবেদ মো. কায়সার নোবেলের ১.০১১১ একর জমি জব্দ করেন দুদক চট্টগ্রাম অঞ্চলের সহকারি পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন।

দুদকের চট্টগ্রাম কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক শরীফ উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি দল কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর জাবেদ মো. কায়সার নোবেলের সম্পদের খোঁজে বিভিন্ন ব্যাংকে শাখায় অভিযান চালায়।

সংস্থাটির চট্টগ্রাম অঞ্চলের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ওই কর্মকর্তা জানান, কক্সবাজারে ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত একটি মামলার তদন্ত চলাকালে জাবেদ মো. কায়সার নোবেলসহ কক্সবাজার জেলার ১০ জন ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব অনুসন্ধান করছে দূদক। এই ১০ জনের মধ্যে কক্সবাজারে কর্মরত দুইজন সাংবাদিকও রয়েছেন।

সুত্র মতে, দুদকের অনুসন্ধানে কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর জাবেদ মো. কায়সার নোবেলের নামে চলমান বেসিক ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, মিচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক এবং ট্রাস্ট ব্যাংক কক্সবাজার শাখায় ইতোপূর্বে ২০ কোটির বেশি টাকার সন্ধান পায় দুদক। ওই টাকা জব্দের পর কক্সবাজার জেলা ডাকঘরে আরও ৮০ লাখ টাকার সন্ধান পেয়েছে সংস্থাটি। সর্বশেষ ইউনিয়ন ব্যাংকের কক্সবাজার শাখায় আরও ৪২ লাখ টাকা পাওয়া যায়।

সুত্র জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ইউনিয়ন ব্যাংকে সঞ্চিত ওই ৪২ লাখ টাকা জব্দ করতে অভিযান চালায় দূদক।

অভিযোগ অনুযায়ী, কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় কথিত মধ্যস্থতার (দালালি) নামে অবৈধ উপায়ে এসব টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে নিশ্চিত হয়েছে দূদক। তাই নোবেলের নামে চলমান ব্যাংক হিসাবে পাওয়া ২০ কোটি, ডাকঘরে পাওয়া ৮০ লাখ টাকা, ইউনিয়ন ব্যাংকের ৪২ লাখ টাকা এবং কক্সবাজার শহরের অভিজাত বেস্ট ওয়েস্টিন হোটেলে দুইটি ফ্ল্যাট, ওয়ার্ল্ড বীচ হোটেলে একটি ও আরেকটি আবাসিক বিল্ডিংয়ে একটি ফ্ল্যাট জব্দ দেখানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, সাবেক কাউন্সিলর জাবেদ মো. কায়সার নোবেল ও দুই সাংবাদিকসহ জেলার ১০ জনের হিসাব অনুসন্ধান করছে।

এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!