নগরীর চকবাজারের ভর্তি কোচিংয়ে এসে ঘরে না ফেরা তাছমিনা আক্তার নিশুকে নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। পরিবার বলছে অপহরণকারীরা মুক্তিপন চেয়ে ফোন করেছে। আবার পুলিশী তদন্তে জানা গেছে নিশুর সাথে ফয়সাল নামে এক যুবকের সম্পর্কের কথাও। প্রশ্ন উঠেছে নিশু কী অপহরণের শিকার নাকি নিজ থেকেই উধাও হয়েছে?
সোমবার (৮ জুলাই) সকাল আটটায় পাহাড়তলী টিকিট প্রিন্টিং রেলওয়ের কলোনী থেকে চকবাজার রেটিনা মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ে আসে নিশু। সাথে তার মাও ছিলেন। কোচিং শেষে মা অভিভাবকদের কক্ষে অপেক্ষমান থাকলেও নিশু বের হয়ে যাওয়ার প্রমাণ মিলেছে কোচিং সেন্টারের সিসি ক্যামেরায়। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে প্রতিদিন যে মাকে নিয়েই নিশু বাসায় ফিরতো, সে কেন স্বেচ্ছায় মাকে ছাড়া কোচিং সেন্টার ত্যাগ করেছে?
নিশু নিখোঁজ বলে তার পিতা তোফায়েল আহমেদ চকবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। জিডিতে তিনি উল্লেখ করেছেন ৮ জুলাই চকবাজারের রেটিনায় কোচিং করতে এসে তাঁর মেয়ে নিখোঁজ হয়। সকল আত্মীয়-স্বজনের বাসা-বাড়িতে খোঁজ নিয়েও পাওয়া যায়নি।
জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, তাছমিনা আক্তার নিশুর সন্ধান চেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় জিডি করা হয়েছে। আমরা তদন্ত করছি। তদন্ত শেষে চূড়ান্ত কথা বলা যাবে। তবে তার প্রেম ঘটিত কারণে স্বেচ্ছায় চলে যাওয়া উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। কারণ জনবহুল চকবাজার এলাকায় কোন মেয়েকে জোরপূর্বক কেউ নিয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। আশপাশে আমাদের সোর্স, টহলটিম ছিল। আর মাকে রেখে রেটিনা থেকে কেন সে একা বের হয়েছে সেটাও একটা বড় প্রশ্ন।
নিশুর ভাই রিয়াদ দাবী করেছেন, ৮ জুলাই রাতে একটি অপরিচিত নাম্বার থেকে ৩০ হাজার টাকা মুক্তিপন চাওয়া হয়েছে। তবে তদন্তে সম্পৃক্তরা বলছেন ওই কলটি টাকা আদায়ের কৌশল হতে পারে। কারণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিশুর ভাই রিয়াদ ও পিতার নাম্বার ভাইরাল হয়ে আছে। তাই তদন্তে দুটো বিষয় সামনে রেখেই এগুচ্ছে- অপরহণ কিংবা পছন্দের মানুষের সাথে স্বেচ্ছায় উধাও।
এফএম/এমএএইচ