নাফনদীতে বোট-ট্রলার সংঘর্ষে ২ নারী নিহত, পানিতে তলিয়ে গেল শিশু

কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীতে সেন্টমার্টিনগামী যাত্রীবাহী একটি স্পিডবোট ও ফিশিং ট্রলারের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই নারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছে এক শিশু। অন্যদিকে আহত হয়েছেন স্পিডবোটের আরও পাঁচ যাত্রী।

মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কায়ুকখালী খালের মোহনায় নাফ নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হচ্ছেন সেন্টমার্টিন পশ্চিম পাড়ার মৃত আব্দুল গফুরের স্ত্রী রশিদা বেগম (৬৫) এবং একই এলাকার আব্দুল জলিলের স্ত্রী মেহেরুন নেছা (৭৫)। রশিদা বেগম ঘটনাস্থলেই মারা যান। অন্যদিকে মেহেরুন নেছাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আনা হলে সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় সেন্টমার্টিন পূর্ব পাড়ার মো. আয়াজের ছয় বছর বয়সী সন্তান সুমাইয়া আক্তার নিখোঁজ রয়েছে।

দুই নৌযানের মুখোমুখি এই সংঘর্ষে আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। আহতদের মধ্যে আল নোমান, মো. ইউনুচ ও মো. আমিনের নাম জানা গেছে। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, হতাহত সবাই সেন্টমার্টিন দ্বীপের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা। টেকনাফ থেকে দ্বীপে ফেরার পথে এই দুর্ঘটনার শিকার হন তারা।

টেকনাফ সদর বিজিবি চৌকির সুবেদার আবদুর রাজ্জাক বলেন, কায়ুকখালী খালের সেন্টমার্টিন ঘাট থেকে যাত্রীবাহী স্পিডবোটটি যখন খালের মুখে পৌঁছায়, তখন নাফ নদী দিয়ে একটি ফিশিং ট্রলার খালে ঢুকছিল। এ সময় দুই জলযানের মুখোমুখি সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। ধাক্কা লেগে স্পিডবোটটি উল্টে যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় ৮ জন যাত্রীকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রশিদা বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন। মেহেরুননেছাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে পথেই তার মৃত্যু হয়।

ঘটনার ব্যাপারে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন, ‘টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনে যাওয়ার পথে নাফ নদীর কায়ুকখালী খালের মুখে যাত্রীবাহী স্পিডবোট ও মাছের ট্রলারের সংঘর্ষ হয়। এতে স্পিডবোটটি উল্টে যাত্রীরা ডুবে যায়। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে টেকনাফের বেসরকারি হাসপাতাল মেরিন সিটি এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।

নিহত মেহেরুন নেছা তার শাশুড়ি বলে জানান চেয়ারম্যান নুর আহমদ।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!