নগর ভবনে তেমন কাজ নেই, বললেন সিডিএর নতুন চেয়ারম্যান

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) কাজ অনেক সহজ বলে মন্তব্য করেছেন সিডিএর নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকালে সিডিএ ভবনের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

নিজের অভিজ্ঞতাকে সিডিএর কাজে কিভাবে লাগাবেন—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে জহিরুল আলম দোভাষ বলেন, ‘চসিক মনে করছে, সরকার জলাবদ্ধতার দায়িত্ব সিডিএকে দিয়ে দিয়েছে। চসিক নালা-নর্দমা পরিষ্কার করবে না। সিডিএ ও চসিকের কাজ ডিফাইন (সুনির্দিষ্ট) করতে হবে।’

১৮-১৯ বছর সিডিএর বোর্ড মেম্বার ছিলেন বলে জানিয়ে দোভাষ আরো বলেন, ‘২০১০ সালের নির্বাচনের সময় তিন মাস এবং সবমিলিয়ে একবছর মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছি। সিডিএ ও চসিকের কাজের মধ্যে তফাৎ আছে। সিটি করপোরেশন চালাতে অনেক সুবিধা। চসিক সিডিএ থেকে অনেক ছোট প্রতিষ্ঠান। তারা শুধু শহরটা দেখে। সিডিএকে পুরো চট্টগ্রাম জেলা দেখতে হয়। নগর ভবনে তেমন কোন কাজ নেই। ওয়ার্ড অফিস থেকে সব কাজ হয়ে যায়। মেয়রকে পুরো কাজ দেখতে হচ্ছে না। কাউন্সিলররাই মেয়রের ৬০ শতাংশ কাজ করে দেন। সিটি করপোরেশনের কাজ চালানো সহজ।’

উন্নয়ন প্রকল্পে অন্যান্য সেবা সংস্থার সাথে কিভাবে সমন্বয় করবেন—এমন প্রশ্নের জবাবে নতুন সিডিএ চেয়ারম্যান বলেন, ‘আজকেই (২৯ এপ্রিল) কাজ শুরু করলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামে জন্য জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্প, রিং রোড প্রকল্প, লালখানবাজার এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প, বাকলিয়া বাইপাস রোডসহ অনেক প্রকল্প দিয়েছেন। আমি প্রকল্পগুলো দেখবো, যাতে দ্রুত শেষ করা যায়।’

জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্পে কিভাজে কাজ করবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, মেগা প্রকল্পের কী কাজ হয়েছে এবং এ প্রকল্প যাতে দ্রুত শেষ হয়; তা আমি দেখবো। যেন জলাবদ্ধতা থেকে নিস্তার পাই। এ নিয়ে চসিকের সঙ্গে একটু দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। তাদের সাথে সমন্বয় করার আন্তরিক চেষ্টা করবো। চসিক, চট্টগ্রাম বন্দর, ওয়াসা মিলেমিশে কাজ করলে জনগণ সুফল পাবে।’

লালখানবাজার টু বিমানবন্দর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন করা হলে দোভাষ বলেন,‘এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। প্রকল্প পরিচালকের সঙ্গে এখনো কথা হয়নি। চার বছর মেয়াদের এই প্রকল্প তিন বছরের মধ্যে শেষ করতে চাই।’

সিডিএকে কেমন দেখতে চান এমন প্রশ্নের জবাবে জহিরুল ইসলাম দোভাষ বলেন, ‘সিডিএর সুনাম যাতে বৃদ্ধি পায়, দুর্নীতিমুক্ত থাকে, সেবা গ্রহীতাদেরকে অফিসিয়ালের বাইরে যাতে কোন টাকা খরচ করতে না হয়; সে বিষয়টি আমি দেখবো।’

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন সিডিএর সচিব তাহেরা বেগম, উপ-সচিব অমল গুহ, প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস, প্রধান পরিকল্পনাবিদ শাহীনুল ইসলাম খান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এএএম হাবীবুর রহমান প্রমুখ।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!