ধর্ষক ড্যান্সার রানাকে চট্টগ্রাম থেকে ধরে নিয়ে গেল র‍্যাব ফোর

সাভারে ধর্ষণ করে চট্টগ্রামে এসে আত্মগোপন

১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করার পর সাভার থেকে চট্টগ্রামে পালিয়ে এসেছিলেন ছাত্রলীগ নেতা সোহেল রানা ওরফে ড্যান্সার রানা। শেষ পর্যন্ত গোপনে খবর পেয়ে ড্যান্সার রানাকে চট্টগ্রাম থেকে ধরে নিয়ে গেল র‍্যাব-৪ এর সদস্যরা।

শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ছাত্রলীগ নেতা সোহেল রানা ওরফে ড্যান্সার রানা (২৭) চট্টগ্রাম শহরে অবস্থান করছেন— এমন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব-৭ এর সহযোগিতায় র‍্যাব-৪ অভিযান চালায়। পরে রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ভোরে চট্টগ্রাম শহর থেকে সোহেলকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার সোহেল রানা সাভার সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি।

র‍্যাব জানায়, ভুক্তভোগী কিশোরী তার বাবা-মাসহ সাভারের রাজাবাড়ী এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়টিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছে। ছাত্রলীগ নেতা সোহেল রানার রাজনৈতিক কার্যালয় ওই কিশোরীর বাসার কাছাকাছি হওয়ায় কয়েক মাস আগে তার সঙ্গে পরিচয় হয় আসামি সোহেলের। রাস্তায় যাতায়াতের বিভিন্ন সময়ে ভুক্তভোগীকে অনৈতিক আকার-ইঙ্গিত প্রদর্শন করতো সোহেল। এক পর্যায়ে প্রেমের প্রস্তাব দেয় ওই কিশোরীকে।

ভিকটিম তা প্রত্যাখ্যান করলে গত বছরের অক্টোবর মাসে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভাড়া করা ফ্ল্যাটে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে সোহেল। এ সময় অশালীন ছবি ও ভিডিও ধারণ করে রাখে। সেই ছবি ও ভিডিওর ভয় দেখিয়ে এত দিন ধরে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে আসছিল অভিযুক্ত ছাত্রনেতা সোহেল রানা।

এ ঘটনায় গত বুধবার ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকেই পালিয়ে আত্মগোপনে ছিলেন অভিযুক্ত। পরে মামলার ছায়া তদন্ত শুরু করে র‍্যাব।

র‍্যাব-৪ (সিপিসি-২) এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাকিব মাহমুদ খান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার আসামি সোহেল ভিকটিমকে বিয়ে প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!