দেশে এখন ছেঁড়া কাপড় পরা ও খালি পায়ে মানুষ দেখা যায় না: তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রাজনীতি করতে হলে পরিবারের ঊর্ধ্বে উঠতে হবে। পরিবারের সঙ্গে থাকতে চাইলে রাজনীতি না করাই ভালো। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করতে হবে। রাজনীতি করলে দলের মানুষকে পরিবার মনে করতে হবে। জীবনকে হাতের মুঠোই নিয়ে রাজনীতি করতে হবে। আমরা এখন সামন্য স্বার্থও ছাড়তে পারি না।

শুক্রবার (২৮ জুন) উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক আলোচনা প্রধান আলোচকের বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী আরও বলেন, নেতাদের পাঠ্যসূচির মাধ্যমে নতুনদের রাজনৈতিক চর্চা করতে হবে। বিনয়ী হতে হব। জনগণের কাছে না গেলে জনগণ আমাদের চাইবে না। আমাদের রাজনীতি করতে হবে জনমানুষের। যখনই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে তখনই বাংলার মানুষ সেবা পেয়েছেন। আওয়ামী লীগ শক্তিশালী হওয়া মানে বাংলাদেশ শক্তিশালী হওয়া।

বাঙালির সমস্ত অর্জন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এসেছে উলে­খ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ অনন্য উচ্চতায় উঠেছে। রাজনীতিকে গণমানুষের কাতারে এনেছে আওয়ামীলীগ। পাকিস্তান সৃষ্টির পর কোনো সংবিধান ছিল না। আওয়ামী লীগের হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে পাকিস্তান সংবিধান পেয়েছে। বর্তমান জাতীয় সঙ্গীত ছিল আওয়ামী লীগের ৬৬ সালের সম্মেলন সঙ্গীত।

মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাওয়ার সময় বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ আজ দক্ষিণ কোরীয়া-সিঙ্গাপুরকে ছাড়িয়ে যেত। কেউ স্বীকার করুক আর নাইবা করুক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এটাই বাস্তবতা। দেশের এখন খালি পায়ের কিংবা ছেঁড়া কাপড় পড়া মানুষ দেখা যায় না। আকাশ থেকে কুঁড়ে ঘর দেখা যায় না। সমস্ত পৃথিবী বাংলাদেশের প্রশংসা করছে। কিন্ত বিএনপি, সিপিডিসহ কিছু সংগঠন এবং ব্যক্তি আছে যারা প্রশংসা করতে পারে না। দেশের উন্নয়নের জন্য ক্ষমতার ধারাবাহিকতা দরকার।

সভার প্রধান অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে গেছে। এই দেশে এখন কোন অভাব নেই। সবার মাঝে দেশপ্রেম থাকতে হবে। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিও আস্থা থাকতে হবে। দেশের প্রত্যেকেরই আর্থিক ভিত্তি ও জীবনমানের নজিরবিহীন উন্নতি ঘটেছে। এ অর্জনের ফলে বাংলাদেশ বিশ্বে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
দেশে এখন ছেঁড়া কাপড় পরা ও খালি পায়ে মানুষ দেখা যায় না: তথ্যমন্ত্রী 1

তিনি বলেন, অসংখ্য নেতাকর্মীর ত্যাগের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ উপমহাদেশের প্রাচীনতম ও ঐতিহ্যবাহী একটি বৃহত্তম গণসংগঠনের মর্যাদায় এসেছে। চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের ভিত্তিকে অনেক প্রতিকূলতা অতিক্রম করে সুদৃঢ় ভিত্তির উপর দাঁড় করিয়েছেন এমএ আজিজ, জহুর আহম্মদ চৌধুরী, এমএ হান্নান, মো. ইছহাক মিয়া, এমএ. মান্নান, আতাউর রহমান খান কায়সার, আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু, এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও কাজী ইনামুল হক দানুসহ অসংখ্য নিবেদিত প্রাণ নেতাকর্মী।

চট্টগ্রামের মধ্যে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতি সবচেয়ে সুদৃঢ় সাংগঠনিক ভাবে পরিচালিত হচ্ছে। যার কারণ আমি মনে করি এখানে অনেক পুরাতন রাজনীতিবীদ রয়েছে।

আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী।

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!