চট্টগ্রাম ওয়াসার সব কার্যক্রম অটোমেশনের আওতায় আনার নির্দেশ

বিলে অব্যবস্থাপনা ও বিড়ম্বনা কমাতে চট্টগ্রাম ওয়াসার সব কার্যক্রম অটোমেশনের (স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি) আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। শুক্রবার (২৮ জুন) বিকেলে ওয়াসার সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।

ভূ-উপরিস্থ পানির পরিমাণ বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, জাপান, সিঙ্গাপুরসহ একাধিক দেশে ভূ-গর্ভস্থ পানি ব্যবহার করা হয় না। সেখানে সাগর-নদী তথা ভূ-উপরিস্থ পানি শোধন করে ব্যবহার করা হয়। এটি পরিবেশের জন্য ইতিবাচক। ওয়াসাকে এদিকে নজর দিতে হবে।

ওয়াসাকে আয় বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশের চারটি ওয়াসার একটিও লাভজনক নয়।
‘ঋণ, ভর্তুকি ও নির্ভরশীল হয়ে বেশিদিন ঠিকে থাকা যায় না। তাই আয় বাড়ানো দরকার। এজন্য পানির দাম বাড়ানো যায় কিনা ভেবে দেখতে হবে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে চট্টগ্রাম ওয়াসার অগ্রগতি তুলে ধরেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ। তখন তিনি নগরের চাহিদার প্রায় ৮০ শতাংশ পানি ওয়াসা সরবরাহ করছে বলে দাবি করেন।

ওয়াসার হিসাব শাখার তথ্য অনুযায়ী ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ গ্রাহক সার্বক্ষণিক পানি পাচ্ছেন। বাকিরা নিয়মিত পানি পান না। সভা শেষে সাংবাদিকরা মন্ত্রীকে এমন তথ্য দিলে তিনি বলেন, হয়তো তাদের কারিগরি ত্রুটি রয়েছে। সেজন্য হিসাবে এমন গড়মিল। ইতোমধ্যে অটোমেশন চালুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, কারিগরি সমস্যা সমাধান হলে হিসাব মিলে যাবে।

সভায় পানির দাম বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে এলজিইডি মন্ত্রণালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ বলেন, ঢাকা ওয়াসার চেয়ে চট্টগ্রাম ওয়াসার পানির দাম কম। ফলে সিস্টেম লস বাড়ছে। কিন্তু পানির দাম বৃদ্ধি প্রস্তাব দেওয়া হলে বোর্ড সদস্যরা বিরোধিতা করছেন বলে আমরা জেনেছি। তবে প্রস্তাবটি বিবেচনা করা উচিৎ।

সচিব বলেন, চাহিদা পূরণে পানির উৎপাদন ৩৬ কোটি লিটার থেকে বাড়িয়ে ৪২ কোটি লিটারে উন্নীত করতে হবে। এজন্য নতুন প্রকল্প নেয়া হলে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা দেওয়া হবে। এ ছাড়া অপচয় রোধে প্রিপেইড মিটার চালু জরুরি।

সংস্কারের পর রাস্তা কাটছে ওয়াসা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, চট্টগ্রাম ওয়াসার সক্ষমতা ধীরে ধীরে বাড়ছে। তবে পাইপ লাইন সংস্কার কাজের জন্য নগরজুড়ে খোঁড়াখুঁড়ি চলছে। এজন্য জনভোগান্তি হচ্ছে। এটাকে আমি উন্নয়নের প্রসব বেদনা বলি। তবে কাজ শেষে জনগণ এর সুফল ভোগ করবে।

রাস্তা কাটার সময় সর্তকতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, পাইপ লাইন সংস্কার কাজের জন্য রাস্তা কাটতে হচ্ছে। তবে অনেক সময় সিটি করপোরেশন রাস্তা সংস্কারের পর ওয়াসার লোকজন নতুন রাস্তাটি কেটে ফেলছে। সমন্বয়ের অভাবে এটি হচ্ছে। কিন্তু সমন্বয় থাকা জরুরি।

সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম ওয়াসার চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী এসএম নজরুল ইসলাম, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম হোসেন প্রমুখ।

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!