দেশে ইউরোপ ও ১০ দেশের যাত্রী আসতে মানা আরও ১০ দিন

আরও ১০ দিন ইউরোপের কোনো দেশ থেকে যাত্রী আসতে পারবে না বাংলাদেশে। ১০টি দেশ থেকে বিমানও আসতে পারবে না দেশে। ব্যতিক্রম শুধু যুক্তরাজ্য। শনিবার (২৮ মার্চ) নতুন করে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলো বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। আগে ৩১ মার্চ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা ছিল।

কার্গো ফ্লাইট চলাচলে অবশ্য কোনো বাধা নেই। এছাড়া ইউরোপ ও ওই ১০ দেশের বাইরের বিভিন্ন গন্তব্য থেকে আকাশপথে যাত্রী আসা-যাওয়া করছে বাংলাদেশে। গত ২৪ ঘণ্টায় এ ধরনের ফ্লাইটে দেশে এসেছেন ৩৬ জন যাত্রী। এর মধ্যে রয়েছে ইংল্যান্ড, চীন, হংকং, ব্যাংককসহ বিভিন্ন দেশ। তবে নিষেধাজ্ঞায় নয়, যাত্রী স্বল্পতার কারণে হংকং ও থাইল্যান্ড রুটে ফ্লাইট স্থগিত রয়েছে।

নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ১০ দেশ হলো কাতার, বাহরাইন, কুয়েত, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর ও ভারত। এসব দেশ থেকে গত ২১ মার্চ রাত ১২টা থেকেই বিমান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া ১৬ মার্চ দুপুর ১২টা থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত লন্ডন ছাড়া ইউরোপের কোনও দেশ থেকেও যাত্রী পরিবহন নিষিদ্ধ রয়েছে।

বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। ৩১ মার্চ থেকে সাতদিন লন্ডন ও ম্যানচেস্টারে ফ্লাইট বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় পতাকাবাহী এই সংস্থা। সরকারি প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ২৯ মার্চ ঢাকা থেকে এ দুটি গন্তব্যে ফ্লাইট যাবে ও পরদিন ফিরে আসবে। এরপর স্থগিতের সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

চীনের গুয়াংজু রুটে ফ্লাইট কমিয়েছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস। ২৯ মার্চ থেকে শুধু প্রতি রবিবার ঢাকা-গুয়াংজু রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করবে বেসরকারি এই বিমান সংস্থা। সপ্তাহে রবি, বুধ ও শুক্রবার তিনটি ফ্লাইট পরিচালনা করছিল ইউএস-বাংলা। সংস্থাটি দোহা, কলকাতা ও চেন্নাই রুটে ১৫ এপ্রিল, কুয়ালালামপুরে ১৪ এপ্রিল, সিঙ্গাপুরে ৭ এপ্রিল, মাস্কাটে ২৯ এপ্রিল ও ব্যাংকক ১৮ মে পর্যন্ত তাদের ফ্লাইট পরিচালনা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!