দুদকের ৮ ঘণ্টার অভিযানে ঘুষের সাড়ে ৬ লাখ টাকাসহ সাব-রেজিস্ট্রার আটক

কক্সবাজারের চকরিয়ায় সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে টানা ৮ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে ঘুষ লেনদেনের ৬ লাখ ৪২ হাজার ১০০ টাকা উদ্ধার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ঘটনায় সাব-রেজিস্ট্রার মো. নাহিদুজ্জামান ও মোহরার দুর্জয় কান্তি পালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় শ্যামল বড়ুয়া নামের এক অফিস সহকারী কৌশলে পালিয়ে যাওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।

বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়। পরে গ্রেপ্তার দুজন ও পলাতক একজনসহ তিনজনকে আসামি করে মামলার মামলা দায়ের করে দুদক।

গ্রেপ্তার সাব-রেজিস্ট্রার নাহিদুজ্জামান নাটোর জেলার গুরুদাশপুর থানার উত্তর নাড়ি বাড়ির, মোহরার দুর্জয় কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুস্কুল ও পলাতক অফিস সহকারী শ্যামল কক্সবাজার পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

দুদক চট্টগ্রাম কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন অভিযানের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে অভিযানের পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার মো. তানভীর হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে সাব-রেজিস্ট্রারের বাসায়ও তল্লাশি চালানো হয়।

দুদকের অভিযান সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে বেশ কিছুদিন ধরে জায়গা-জমির দলিল সম্পাদনের সময় ঘুষের লেনদেন নিয়ে বেশকিছু অভিযোগ আসে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক চট্টগ্রাম কার্যালয় অভিযানে নামে। সম্প্রতি রশিদ আহমদ নামের এক ব্যক্তির দলিল রেজিস্ট্রেশনের জন্য সাব-রেজিস্ট্রারের নাম ব্যবহার করে এক কর্মচারী ঘুষ দাবি করেন। দুদক কর্মকর্তারা ভুক্তভোগী অভিযোগকারীকে সাথে নিয়ে সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে যান। পরে দুদক কর্মকর্তারা কার্যালয়টিতে অভিযান চালান। এ সময় সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের প্রধান সহকারী ও অন্যান্য সহকারীর কাছ থেকে দুদকের টিম তিনটি স্থান থেকে ৬ লাখ ৪২ হাজার টাকা উদ্ধার করে। অভিযান চলাকালে কৌশলে পালিয়ে যাওয়া শ্যামল বিপুল পরিমান টাকা ও বেশ কিছু কাগজপত্র সাথে নিয়ে গেছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।তবে তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে।

এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!