ঢাকাকে ‘চট্টগ্রাম চেনালেন’ সৌম্য-লিটন, সাথে ছিলেন বোলাররাও

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে চট্টগ্রামের উড়ন্ত সূচনা

টুর্নামেন্টে দেরিতে মাঠে নেমে দাপট দেখিয়ে ঢাকাকে ‌‘চট্টগ্রাম চেনালেন’ গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে বেক্সিমকো ঢাকাকে ৮৮ রানেই গুটিয়ে দিয়ে ৯ উইকেটের বড় জয় নিয়ে শুভসূচনা করে চট্টগ্রাম।

মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন গাজী গ্রুপের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। মিঠুনের সিদ্ধান্ত কতোটা যথার্থ ছিল তা দারুণভাবে প্রমাণ করেছেন চট্টগ্রামের বোলিং আক্রমণে থাকা মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, তাইজুল ইসলামরা। ঢাকার তানজিদ তামিমকে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ফেরান শরিফুল ইসলাম। কোনো রান না করেই এক বলের ব্যবধানে সাব্বির রহমান ও মুশফিকু রহিম যখন ফিরছিলেন ঢাকার স্কোর তখন ২১/৩।

এরপর যুববিশ্বকাপ জয়ের নায়ক আকবর আলীকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকার ওপেনার নাঈম শেখ একটু প্রতিরোধ গড়েছিলন বটে তবে বাকিরা দাঁড়াতেই পারেননি মোস্তাফিজদের সামনে। নাঈম দলীয় ৬৬ রানের মাথায় ২৩ বলে তিনটি করে চার ছয় মেরে ৪০ রান করে ফিরলে তারপর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ঢাকার ইনিংস। ১৬.২ ওভারে ৮৮ রানেই গুটিয়ে যায় দলটি। ঢাকার পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৫ রান করেন আকবর আলী।

গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, মোসাদ্দেক হোসেন ও তাইজুল ইসলাম। অপর দুই উইকেট সৌম্য সরকার ও নাহিদুল ইসলামের। চট্টগ্রামের সব বোলাররাই কম বেশি দারুণ বোলিং করেছেন এদিন। তবে ‘আইকন’ মোস্তাফিজুর রহমানের বোলিং হলো চোখে লেগে থাকার মতো। ৩.২ ওভার বোলিং করে ২ উইকেট নিতে মাত্র ১৩ রান খরচ করেছেন বাঁহাতি পেসার। মোস্তাফিজ তার ২০টি ডেলিভারির মধ্যে ১৫টিই করেছেন ডট!

জবাবে ব্যাট করতে নেমে জাতীয় দলের দুই ওপেনার সৌম্য সরকার আর লিটন দাশের ব্যাটিং তাণ্ডবে ঢাকার বোলাররা নাকানিচুবানি খান। উদ্বোধনী জুটিতে ৯.৪ ওভারে ৭৯ রান তুলেন এ দুজন। লিটন দাশ ৩৩ বলে ৩৪ রান করে নাসুমের বলে প্লেয়ড অন হয়ে যান। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৩টি চার আর ১টি ছয়ে। লিটন বিদায় নিলেও ব্যাটের তাণ্ডব কমেনি সৌম্যের। মাত্র ২৯ বলেই তিনি এক হালি চার ও এক জোড়া ছয়ে ৪৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। অন্যদিকে, ৩ বলে ৮ রান করে ৫৫ বল বাকি থাকতেই দলের জয় নিয়ে সৌম্যের সাথে মাঠ ছাড়েন মুমিনুল হক।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!