মামুনুলের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে সর্বাত্মক প্রতিরোধ গড়ে তোলার ঘোষণা

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে বিতর্ক

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করা এবং ভাস্কর্য ভেঙ্গে ফেলার হুমকি দেওয়া হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে চট্টগ্রামে সর্বাত্মক প্রতিরোধের ঘোষণা দিয়েছে চট্টগ্রামের সবর্স্তরের ছাত্র ও যুব ঐক্য পরিষদ। মামুনুল হক চট্টগ্রামের মাটি ব্যবহার করে কোথাও যেতে চাইলে তা যেকোন মূল্যে প্রতিহত করার ঘোষণাও দিয়েছে সংগঠনটির নেতারা।

বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে আয়োজিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভেঙে ফেলা হুমকিদাতা ‘উগ্র জঙ্গী’ মামুনুল হকের চট্টগ্রাম আগমনের প্রতিবাদে এবং তা প্রতিহত করার লক্ষ্যে প্রতিবাদী সমাবেশে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

আগামীকাল (২৭ নভেম্বর) চট্টগ্রামের হাটহাজারী এলাকায় একটি তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে মামুনুল হকের। সেখানে তাকে সংবর্ধনা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। এমনটাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হচ্ছে গত কয়েকদিন ধরে।

জানা গেছে, হাটহাজারী যাওয়ার জন্য মামুনুল হক আকাশ পথে চট্টগ্রাম পৌঁছবেন পরে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে সড়ক পথে হাটহাজারী যাবেন তিনি। তবে ভাস্কর্য অপসারণ বিতর্কে চট্টগ্রামের প্রয়াত মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সন্তান শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের সঙ্গে দ্বৈরথে জড়ানোর পর চট্টগ্রামের ভূমি ব্যবহার করে মামুনুল হকের হাটহাজারী সংবর্ধনা নিতে যাওয়াকে নিজেদের প্রেস্টিজ ইস্যু হিসেবে নিয়েছে মহিউদ্দিন অনুসারীরা।

তাই মামুনুল হককে প্রতিরোধ করতে চট্টগ্রামের সবর্স্তরের ছাত্র ও যুব ঐক্য পরিষদের ব্যানারে প্রেসক্লাব চত্বরে এই সমাবেশের ডাক দেয় চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।
মামুনুলের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে সর্বাত্মক প্রতিরোধ গড়ে তোলার ঘোষণা 1
চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহম্মেদ ইমু সভাপতিত্ব ও সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে নগর ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতারা ছাড়াও চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

সমাবেশে অংশ নেওয়া বক্তারা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙে ফেলা হুমকিদাতা মামুনুল হক কিছুতেই চট্টগ্রামের মাটিতে আসতে পারবে না। এই জঙ্গী ধর্ম ব্যবসায়ী মামুনুল হক বার বার উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে জাতির দুশমন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। তাই তাকে চট্টগ্রাম মানুষ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করবে। এই ঘৃণিত ব্যক্তি আকাশপথ, নৌপথ, সড়কপথ যে পথেই চট্টগ্রাম আসুক তাকে প্রতিরোধ করা হবে।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাস, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, নগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এম আর আজিম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন, সাবেক ছাত্রনেতা মহিউদ্দিন শাহ, আবুল হোসেন আবু, আরশেদুল আলম বাচ্চু, আবুল হাসনাত মোহাম্মদ বেলাল, সঞ্জয় ভৌমিক কংকন, শিবু প্রসাদ চৌধুরী, আকবর আলি আকাশ, ওসমান গণি আলমগীর, হাবিবুর রহমান তারেক, লিটন মহাজন, আজিজুর রহমান আজিজ, ফরহাদুল ইসলাম রিন্টু, মেজবাহ উদ্দিন মোরশেদ, মুসলেহ উদ্দিন আহমেদ শিবলি, আশিকুন নবী চৌধুরী, আবু সাঈদ সুমন, রাজিব, হাসান রাজন, রাজেশ বড়ুয়া, শওকত আলম প্রমুখ।

এছাড়া বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি তানবীর হোসেন তপু, দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এসএম বোরহান উদ্দিন, নগর ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল হাসান রুমি, নোমান চৌধুরী, ইয়াছিন আরাফাত কচি, একরামুল হক রাসেল, রুমেল বড়ুয়া রাহুল, সৌমেন বড়ুয়া, মইনুল হাসান শিমুল, ফখরুল আহমেদ পাবেল, সুজন বর্মণ, গোলাম ছামদানি জনি, খোরশেদ আলম মানিক, হাসানুল আলম সবুজ, মিনহাজুল আবেদীন সানি, ওসমান গণি বাপ্পি, শাহরিয়ার হাসান, কবীর আহমেদ, মোহাম্মদ বিন ফয়সাল, কাজি মাহমুদ রনি, আবু হানিফ রিয়াদ, কাইছার মাহমুদ রাজু, নাদিম উদ্দিন, সাব্বির সাকির, শরীফুল ইসলাম আদনান, এম হাসান আলি, মোহাম্মদ ফয়সাল, মোশরাফুল হক পাভেল, আরাফাত, রুবেল, মিজানুর রহমান মিজান, শেখর দাস, ফয়সাল ওভি প্রমুখ।

এআরটি/এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!