টেকনাফ এক যুবকের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা

টেকনাফ এক যুবকের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা 1গিয়াস উদ্দিন ভুলু, টেকনাফ : টেকনাফ সাবরাং সৈকত উপকুল থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত যুবক টেকনাফের সাবরাং হারিয়াখালী এলাকার মুক্তার আহাম্মদের ছেলে নূরুল আমিন (২৮)। গত শনিবার রাতে সাবরাং হারিয়াখালী সাগর সৈকত উপকূল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে ময়নাতদন্ত শেষে গত রবিবার রাতে কক্সবাজার থেকে টেকনাফের বাড়ীতে লাশ নিয়ে আসার পর জানাযা শেষে দাপন করা হয়েছে। তবে রাতেই নিহতের ভাই আক্তার কামাল বাদী হয়ে হত্যার সাথে জড়িত সাবরাং হারিয়াখালী এলাকার হেলাল উদ্দীনকে প্রধান আসামী করে সাত জনকে জ্ঞাত ও ৫/৬ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা টেকনাফ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ সোহেল জানান, সৈকত থেকে লাশ উদ্ধারের ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়েছে। এ হত্যা মামলার আসামীদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন।
জানাযায়, গত শুক্রবার দুপুরে স্থানীয় সোনা মিয়ার মালিকানাধীন একটি বোট নিয়ে চার জন জেলে সাগরে মাছ ধরতে যায়। রাত পেরিয়ে পরের দিন পর্যন্ত তার কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে শনিবার রাতে সাগর পাড়ে তার লাশ আত্মীয়-স্বজনরা সনাক্ত করে। পরে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ সোহেলের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সৈকত থেকে লাশটি উদ্ধার করে নিয়ে আসে। পরে লাশের সুরুতহাল তৈরি করে রবিবার ভোরে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়।
আরো জানায়, সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে যুবক লাশ হওয়ায় এলাকায় রহস্যের সৃষ্টি হয়। রাতে বোট নিয়ে কাটাবনিয়া খালের মূখের সামনের সাগরে মাছ শিকার করছিল। এসময় ইয়াবা পাচারের একটি সিন্ডিকেটের সাথে তার কথা কাটাকাটির মধ্যে দ্ব›দ্ধ হয়। এর জের ধরে তাকে হত্যা করা হয় বলে জানা গেছে।
তবে নিহতের ভাই আকতার কামালের দাবী, স্থানীয় একটি ইয়াবা সিন্ডিকেট সাগর পথে সাবরাং হারিয়াখালী পয়েন্ট দিয়ে ইয়াবা চালান পাচার কালে মাছ ধরা নৌকায় নুরুল আমিনকে দেখতে পায়। এই ইয়াবার  ঘটনা ফাঁস হওয়ার ভয়ে সিন্ডিকেটের লোকজন তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!