চট্টগ্রাম মেডিকেলে পিঠা উৎসবে ডাক্তাররা, রোগীদের ভোগান্তি

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পিঠা উৎসব করেছে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্টস ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন। হাসপাতালের ডাক্তাররা বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাসেবা বাদ দিয়ে এই পিঠা উৎসবে যোগ দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

চট্টগ্রাম মেডিকেলে পিঠা উৎসবে ডাক্তাররা, রোগীদের ভোগান্তি 1

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ডক্টরস লাউঞ্জে সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ৩টা পর্যন্ত চলে এই পিঠা উৎসব।

মেডিকেল সূত্রে জানা গেছে, ডাক্তাররা পিঠা উৎসবে গেলে ওয়ার্ডে চিকিৎসক সংকট দেখা যায়। বিশেষ হৃদরোগ, মেডিসিন, শিশু গাইনি, সার্জারি, কিডনি ওয়ার্ড এসব চিকিৎসকনির্ভর।

পিঠা উৎসব উদ্বোধন করেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান।

আরও জানা গেছে, এই আয়োজনে স্পন্সর করে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস সায়েন্টিফিক। আরপি, আরএস, আইএমও, আসিসট্যান্ট রেজিস্ট্রার, রেজিস্ট্রাররাও উপস্থিত ছিলেন। হাসপাতালে ইলেক্ট্রনিক চুলা ব্যবহার এসব পিঠা বানানো হয়।

এ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শিশু রোগ বহির্বিভাগের রেসিডেন্ট ফিজিশিয়ান (আরপি) ডা. সাইফুল ইসলাম বাদল চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আসলে এ উৎসব ডাক্তারদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। হাসপাতাল কম্পাউন্ডে করা হয় এজন্য যে, সব ডাক্তাররা যাতে অংশগ্রহণ করতে পারেন। হাসপাতালের অন্তঃবিভাগ ও বহির্বিভাগের সকল ওয়ার্ডের রেজিস্ট্রার, সহকারী রেজিস্ট্রার, আইএমও (ইনডোর মেডিকেল অফিসার), আরপি, আরএস পিঠা উৎসবে অংশগ্রহণ করেছেন।’

স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস সায়েন্টিফিক এই অনুষ্ঠানে পার্টনার হিসেবে ছিলেন বলে জানান ডা. সাইফুল ইসলাম।

তবে অ্যাসোসিয়েশনের বেশ কয়েকজন ডাক্তার জানান, পিক আওয়ারে হাসপাতাল করিডোরে পিঠা উৎসবের নামে এরকম গেট টুগেদার ঠিক হয়নি। হাসপাতালে বৃহস্পতিবার এমনিতেই রোগীদের ভর্তির চাপ বেশি থাকে। নতুন-পুরাতন রোগীদের আগামী শুক্র ও শনিবারের ট্রিটমেন্ট প্রসিডিউর ঠিক করে দেন এমডি স্টুডেন্টরাই। পিঠা উৎসব দিনের অন্য সময় হাসপাতাল করিডোরের বদলে কলেজের অডিটোরিয়ামেও করা যেত।’

আইএমই/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!