চট্টগ্রাম থেকে যাওয়া মদের চালান ধরা পড়ল নারায়ণগঞ্জে

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাস হওয়া মদভর্তি দুটি কন্টেইনার জব্দ করা হয়েছে নারায়ণগঞ্জ থেকে। মেশিনারি ও ববিন পণ্য আনার ঘোষণা দিয়ে ওই চালানে আনা হয় মদ।

শুক্রবার (২২ জুলাই) গভীররাতে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থেকে মদের কন্টেইনার দুটি গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগিতায় আটক করে র‌্যাব।

কাস্টম হাউস চট্টগ্রামের এআইআর টিম, আনস্টাফিং, স্ক্যানিং ও গেট ডিভিশনকে ফাঁকি দিয়ে কাভার্ডভ্যানে বের করা হয় কন্টেইনার দুটি।

চালান দুটি আটক করে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি রোধ করা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে ইনভেন্ট্রি কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানান কাস্টমস কর্মকর্তারা।

জানা গেছে, চট্টগ্রামের ডবলমুরিংয়ের জাফর আহমদ নামের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ঘোষিত পণ্যচালানে (এনসিটি ইয়ার্ডের গেট ভেরিফিকেশন নম্বর ১৬৭ ও ১৬৮) অবৈধ পণ্য রয়েছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর, আঞ্চলিক কার্যালয়, চট্টগ্রামের গোয়েন্দা দল চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে গেলে গেট ভেরিফিকেশন নম্বরের মিল পায়। এ সময় তারা জানতে পারে, ওই পণ্যচালান বন্দরের ১ নম্বর গেট দিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ২৪ মিনিটে ও ৬টা ২৫ মিনিটে ডেলিভারি হয়ে যায়।

আইপি জালিয়াতি করে কুমিল্লা ও ঈশ্বরদী ইপিজেডের দুটি প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে মেশিনারি ও ববিন ঘোষণায় চালান দুটি খালাস করা হয়। এ দুটি চালানের আমদানিকারক ছিল বিএইচকে টেক্সটাইল ইপিজেড ঈশ্বরদী, পাবনা (BIN : 001163633-1105) কর্তৃক দাখিলকৃত বিল অব এন্ট্রি নম্বর সি-২০০১৫৬ এবং হাসি টাইগার কো. ইপিজেড কুমিল্লার (BIN : 0003056111-0601) দাখিলকৃত বিল অব এন্ট্রি নম্বর সি-২০০২৩১।

দুটি চালানেই ২০ জুলাই বিল অব এন্টি দাখিল করা হয় চট্টগ্রাম কাস্টমসে। আর আইপি নম্বর ব্যবহার করা হয় IDI805210008 এবং IE2705220030। নম্বর যাচাই করা হলে আইপি জাল বলে প্রমাণ হয়।

চট্টগ্রাম বন্দরের নিরাপত্তা শাখা থেকে সংশ্লিষ্ট ড্রাইভার ও হেলপারের মোবাইল নম্বর কয়েকবার ফোন দিলেও তারা রিসিভ করেননি।

কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের ডেপুটি কমিশনার সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘আমদানি করা পণ্যভর্তি ৪০ ফুটের দুটি কন্টেইনার কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের তদারকিতে র‌্যাব আটক করেছে।’

তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ জব্দ করা হয়েছে। তার পরিমাণ নির্ধারণের জন্য ইনভেন্ট্রির কাজ চলছে। ভুয়া আইপি ব্যবহারের সত্ত্বেও কীভাবে শুল্কায়ন কার্যক্রম সম্পন্ন হল এবং স্ক্যানিং ও গেট ডিভিশনকে ফাঁকি দিয়ে কীভাবে পণ্যচালান দুটি খালাস হলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!