চট্টগ্রামে ৯০০ কেজি ভেজাল মসলা জব্দ, কারখানা মালিককে ১ বছরের কারাদণ্ড

চট্টগ্রাম নগরে ক্ষতিকর রঙ, কাঠের গুঁড়া ও ভূষি মিশিয়ে বিক্রি হচ্ছে মরিচ, মশলা ও হলুদের গুঁড়া। চাক্তাইয়ের এক কারখানায় দেখা গেছে এমন চিত্র। বিভিন্ন সময় অভিযান চললেও থামানো যাচ্ছে না অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য।

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে আবারও অভিযান চালানো হয়েছে কোতোয়ালীর চাক্তাইয়ের ভেজাল মসলা কারখানায়। এ সময় কারখানার মালিকসহ চার জনকে আটক করা হয়।

এছাড়া কারখানা মালিককে ১ লাখ টাকা জরিমানাসহ ১ বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। জব্দ করা হয়েছে ৯০০ কেজি ভেজাল মসলা।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্তের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

জানা গেছে, চাক্তাই এলাকায় মিয়াখান নগর ব্রিজের পাশে একটি মসলা কারখানা মালিক দীর্ঘদিন ধরে মরিচ, মশলা, হলুদ গুঁড়ার সঙ্গে ক্ষতিকর রঙ কাঠের গুঁড়া ও নিম্নমানের ভূষি মিশিয়ে বিক্রি করছিল। এসব ভেজাল গুঁড়া বিক্রির জন্য বস্তায় ভরে রাখা হয়েছে।

অভিযানে ভেজাল মশলা তৈরির সময় কারখানা মালিক বাচ্চু মিয়াসহ আরও চার শ্রমিক আটক করা হয়। বাচ্চু মিয়াকে ১ লাখ টাকা জরিমানা ও ১ বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৯০০ কেজি ভেজাল মশলা জব্দ করা হয়।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জানান, প্রতি বছর রমজান মাসে অধিক মুনাফার আশায় বেশ কিছু অসাধু ব্যবসায়ী চট্টগ্রামে ভেজাল মসলা উৎপাদন ও বাজারজাত করেন। এ বছর রমজানে চট্টগ্রামে যেন এরকম ভেজাল খাদ্যদ্রব্য তৈরি ও বাজারজাত না হয়, সে বিষয়ে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি অব্যাহত থাকবে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, রমজানকে সামনে রেখে অসাধু ব্যবসায়ীরা তৎপর হয়ে উঠেছে। তাই আমরা আগে থেকে ভেজাল ও অসাধু ব্যবসায়ীদের রোধে মাঠে নেমেছি। আজ অভিযানে মশলায় ক্ষতিকর রঙ, কাঠের গুঁড়া ও ভূষি মিশিয়ে বিক্রির দায়ে বাচ্চু মিয়া নামে একজনকে ১ বছর কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযানে ৯০০ কেজি ভেজাল মশলা জব্দ করা হয়।

সিএম/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!