চট্টগ্রামে ৪ দশকে খুন অর্ধশত ছাত্রলীগ নেতা, বিচার হয়নি একটিরও

চট্টগ্রামে গত ৪০ বছরে খুন হয়েছেন ছাত্রলীগের পদধারী প্রায় অর্ধশত নেতা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত একটি হত্যাকাণ্ডেরও বিচার হয়নি। আদালতের চক্কর কাটতে কাটতে সময় যাচ্ছে অধিকাংশ ছাত্রনেতার স্বজনদের। আবার অনেকের মা-বাবা সন্তান হত্যার বিচারের আশায় বুক বেঁধে আছেন।

ছাত্রদের অধিকার আদায়ে কাজ করে যাওয়া ছাত্রলীগ যেন ‘নিজের ভাইয়ের’ হত্যার বিচারে একদম উদাসীন। হত্যার ৩০ বছর পরও বিচার না হওয়া সাবেক ছাত্রনেতা তবারকের কবরে ঠিকই প্রতিবছর ফুল দিতে যান বর্তমান ও সাবেক ছাত্রনেতারা। শুধু তবারকই নন, ঘটা করে মেজবান দিয়ে অনেকের মৃত্যুদিবস পালন করা হয়। কিন্তু হত্যার বিচার চেয়ে কোনো নেতা দেন না হাঁকডাক। ঘুরেফিরে নিহতদের পরিবার দৌড়াতে থাকেন বিচারের আশায়।

চট্টগ্রাম নগরীতে আলোচিত হত্যাকাণ্ডের মধ্যে রয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরী, নগর ছাত্রলীগের সহসম্পাদক সুদীপ্ত বিশ্বাস, চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদি হাসান বাদল, চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দীন সোহেল হত্যা।

এছাড়া কয়েক যুগ কেটে গেলেও ১৯৮১ সালের সিটি কলেজ ছাত্রসংসদের এজিএস তবারক হোসেন, এমইএস কলেজের পুলক বিশ্বাস এবং বহদ্দারহাটের ‘এইট মার্ডারের’ মতো চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডেরও বিচার হয়নি।

কোনও মামলা সাক্ষীর অভাবে শেষ হচ্ছে না। আবার কোনও মামলায় আসামি প্রভাবশালী হওয়ায় দেওয়া হচ্ছে না চার্জশিট। এছাড়া প্রতিপক্ষকে ফাঁসিয়ে দিতেই নিরপরাধ লোকদের আসামি করে মামলার গতিপ্রকৃতি পাল্টে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে কোনও কোনও মামলায়।

তবারককে দিয়ে শুরু

চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ নেতা হত্যা শুরু হয় ১৯৮১ সালে সিটি কলেজ ছাত্রসংসদের এজিএস তবারক হোসেনকে দিয়ে। শিবিরকর্মীরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। চার দশক পার হলেও খুনের বিচার হয়নি।

জানা গেছে, ওই বছরের ২০ সেপ্টেম্বর সকালে বেলা চট্টগ্রাম কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের মিছিল হওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করে নগর ছাত্রলীগ। ওই সময় নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন সফর আলী, সাধারণ সম্পাদক ছিলেন শেখ মোহাম্মদ এবং শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছিলেন আ জ ম নাছির উদ্দিন। মিছিলটি কলেজের প্রধান ফটক দিয়ে ছাত্রাবাসিক হলের সামনে আসতেই শিবিরের ক্যাডার আনোয়ার ও হেলাল হুমায়ুনের নেতৃত্বে মিছিলে হামলা করা হয়। এ সময় তবারকের ওপর হামলা করে তার মৃত্যু নিশ্চিতের পর লাশ ক্যাম্পাসে রেখে চলে যায় শিবির ক্যাডাররা।

এই খুনের তিন বছর পর ১৯৮৪ সালের ২৮ মে ঘুমন্ত অবস্থায় চট্টগ্রাম কলেজের হোস্টেলে জবাই করে হত্যা করা হয় শাহাদাত হোসেনকে। শাহাদাত হত্যা মামলায় নিম্ন আদালতে দু’জনের সাজা হয়। দু’বছর পর উচ্চ আদালত এই মামলার প্রধান আসামি হারুন ও ইউসুফকে বেকসুর খালাস দেন।

পুলক বিশ্বাস হত্যাকাণ্ড

এরপর ২০০০ সালের ফেব্রুয়ারিতে নিজঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় ব্রাশফায়ার করে খুন করা হয় এমইএস কলেজ ছাত্র সংসদের বিতর্ক বিষয়ক সম্পাদক পুলক বিশ্বাসকে।

চাঞ্চল্যকর ‘এইট মার্ডার’

তবে সবচেয়ে আলোচিত হত্যাকাণ্ড ‘এইট মার্ডার’ হয় ২০০০ সালের ১২ জুলাই। নগরীর বহদ্দারহাট এলাকায় প্রকাশ্যে ব্রাশফায়ার করে ছাত্রলীগের আট নেতাকর্মীকে খুন করে শিবির ক্যাডাররা। এদের মধ্যে ছিলেন সরকারি কমার্শিয়াল ইনস্টিটিউট (পলিটেকনিক এলাকার) তৎকালীন ছাত্রসংসদের ভিপি হাসিবুর রহমান হেলাল, এজিএস রফিকুল ইসলাম সোহাগ, বায়েজিদ বোস্তামী ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলম।

চাঞ্চল্যকর ‘এইট মার্ডার’ মামলায় চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন নিম্ন আদালত। কিন্তু পরে তাদের চারজনই উচ্চ আদালতের রায়ে বেকসুর খালাস পান।

মহিমকে ‘ক্রসফায়ার’

২০০৪ সালের ২৮ নভেম্বর র্যা বের ‘ক্রসফায়ারে’ মারা যান এমইএস কলেজের সাবেক ভিপি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপপাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক মহিম উদ্দীন। বিমানবন্দর থেকে র্যা ব মহিম উদ্দীনকে আটক করে ‘ক্রসফায়ার’ দিয়ে হত্যা করে।

তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহিমের নগরীর গোলপাহাড়ের বাসায় গিয়ে তার মা ও পরিবারকে সমবেদনা জানান।

প্রতিবছর ঘটা করে মেজবানের দিয়ে মহিমের মৃত্যু দিবস পালন করলেও তার বিচারের দাবিতে নেই কোনো নেতার হাঁকডাক।

চবির দিয়াজ হত্যা

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরী হত্যার ৬ বছর হতে চললো। কিন্তু এখনো আদালতের বারান্দায় ঘুরে ঘুরেই দিন কাটছে দিয়াজের মায়ের।

২০১৬ সালের ২০ নভেম্বর তার লাশ উদ্ধার করা হয় ঘর থেকে। এখনো কুল-কিনারা হয়নি এ হত্যাকাণ্ডের। তার মা জাহেদা আমিন চৌধুরী ছেলে হত্যার বিচারে আশায় বুক বেঁধে আছেন।

সুদীপ্তকে পিটিয়ে হত্যা

২০১৭ সালের ৬ অক্টোবর সকালে নগর ছাত্রলীগের সহসম্পাদক সুদীপ্তকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষ। এই ঘটনার বিচার আজও শেষ হয়নি। সুদীপ্তের বাবা মেঘনাথ বিশ্বাসের দিন কাটে ছেলে হত্যার বিচারের আশায়।

চবির আলী মর্তুজা হত্যা

২০০১ সালে ২৯ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি আলী মুতুর্জাকে ফতেয়াবাদের একটি দোকানে বসা অবস্থায় ব্রাশফায়ার করে খুন করে শিবিরের ক্যাডাররা। এ ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলী মর্তুজার ঘরে এসেছিলেন তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে।

দক্ষিণ জেলার জনি-বাপ্পী ও তৌকি হত্যা

২০১৩ সালের ৪ জানুয়ারি নগরীর আন্দরকিল্লা এলাকায় দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে প্রতিপক্ষের হাতে গুরুতর আহত হন দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আবদুল মালেক জনি। ঘটনার চারদিন পর ৮ জানুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জনির মৃত্যু হয়। ঘটনার পর নিহতের ভাই নয়জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করলেও খুনিদের বিচারের আশায় এখনো দিন গুনছে জনির পরিবার।

একই বছরে ১০ নভেম্বর গলাকেটে হত্যা করা হয় সাতকানিয়ার বার আউলিয়া ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহাবুবুর রহমান বাপ্পীকে। পরের বছর একই কলেজের তৎকালীন সভাপতি তৌরিকুল ইসলাম তৌকিরকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম আসার পথে ট্রেনেই ছুরিকাঘাতে খুন করা হয়।

বাদল-সোহেল-লোকমান ও মহিউদ্দিন হত্যা

২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর গুলি করে হত্যা করা হয় চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদি হাসান বাদলকে।

২০১৬ সালের ২৯ মার্চ নগর ছাত্রলীগের সদস্য ও প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাছিম উদ্দিন সোহেল খুন হন। কথা কাটাকাটির জেরে ছুরির আঘাতে নিজের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই খুন হতে হয় সোহেলকে।

২০১৭ সালের ১৮ মে কুপিয়ে হত্যা করা হয় হাটহাজারী ফতেহপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লোকমানকে।

২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি চাঁদাবাজির অজুহাতে পরিকল্পিতভাবে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক উপ-শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দীন সোহেলকে।

ছাত্রলীগ নেতা ছাড়াও অনেক কর্মীও প্রাণ হারিয়েছে দলীয় কোন্দলে। এদের মধ্যে অন্যতম চবির তাপস হত্যা। ২০১৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর প্রতিপক্ষের গুলিতে প্রাণ হারান এই ছাত্রলীগকর্মী। হত্যার ৮ বছর পার হলেও ছেলে হত্যার বিচার দেখা হয়নি নিহত তাপসের মায়ের। বরং এই মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামিদের অনেককেই পুরস্কৃতই করেন তৎকালীন উপাচার্য প্রফেসর আনোয়ারুল আজিম আরিফ। আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামে আনোয়ারুল আজিম আরিফ উপাচার্য পদে যোগ দিয়ে তার পিএস হিসেবে নিয়োগ দেন এই মামলার আসামি এসএম আরিফুল ইসলামকে।

বিচার না হওয়ার নেপথ্যে বেশ কিছু কারণের কথা জানিয়েছেন হত্যা মামলাগুলোর বাদি পক্ষের একাধিক আইনজীবী। তারা মনে করেন, উদ্দেশ্যমূলকভাবে এসব মামলায় অনেককে বিনা অপরাধেও আসামি করা হয়। তাছাড়াও সাক্ষীদের সাক্ষ্য দিতেও অনিহা দেখা যায়।

এ ব্যাপারে চট্টগ্রামের প্রবীণ আইনজীবী ইব্রাহিম হোসেন বাবুল চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের মামলা কখনোই মিথ্যা হয় না, হত্যা হয়েছে বিধায় মামলা হয়েছে। এটাকে প্রতিষ্ঠিত করতে হয় না। শুধু হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত তাদের জড়িত থাকার তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করাই তদন্তের মূল বিষয়। কিন্তু প্রসিকিউশন যদি এই তথ্য বিচারকের সামনেই উপস্থাপন করতে না পারে তবে বিচারটা হবে কী করে?’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আইনজীবী বলেন, ‘এক চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডে সাক্ষী দেওয়ার আগে ভুক্তভোগীর পরিবারকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় অভিযুক্তরা। পরবর্তীতে তারা সাক্ষ্য দেননি বলেই অপরাধীরা খালাস পেয়ে যায়।’

শহীদ তবারকের সহপাঠী ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডে কোনো আপোষ নেই। আর এসব হত্যাকাণ্ডের যদি বিচার হতো, তবে মানুষ অপরাধ করতে ভয় পেতো। অবশ্যই সকল ছাত্রনেতার হত্যাকাণ্ডের বিচার হওয়া জরুরি। আর এসব মামলার ক্ষেত্রে সরকারি কৌঁসুলিদের আরও যত্নবান হওয়াও দরকার।’

চট্টগ্রাম মহানগর পিপি ফখরুদ্দীন চৌধুরী বলেন, ‘দীর্ঘ সময় ধরে মামলা চলার কারণে সাক্ষীরা আসতে চান না। তদন্ত কর্মকর্তাকে খুঁজে পাওয়া যায় না। তাছাড়া আলামতও নষ্ট হয়ে যায় অনেক সময়। এজন্যই সাধারণত মামলার রায় হতে দেরি হয়।’

এদিকে গত চার দশকে সবচেয়ে বেশি ছাত্রনেতা মারা গেছে নগরী ওমরগনি এমইএস কলেজের। এর পরে রয়েছে সরকারি সিটি কলেজ ও ইসলামিয়া কলেজের নাম।

এমইএস কলেজ

ছাত্ররাজনীতির বলি হওয়াদের তালিকার শীর্ষে থাকবে এমইএস কলেজের নাম। কলেজটির প্রায় ডজনখানেক ছাত্রনেতা হত্যার শিকার হয়েছেন।

সর্বশেষ ২০২১ সালে প্রতিপক্ষের হামলায় প্রাণ যায় এমইএস কলেজের সাবেক সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক নাছির উদ্দীন নোবেলের।

এর আগে শিবিরের হাতে ১৯৯০ সালে মারা যান কলেজ ছাত্রসংসদের নেতা রবিউল হোসেন বেলাল। একই বছর অসহযোগ আন্দোলনে পুলিশের পিটুনিতে মৃত্যু হয় কলেজ ছাত্রসংসদের ভিপি আহসানুল করিম মানিকের।

কলেজটির সব থেকে বড় ট্র্যাজেডি ১৯৯৭ সালের ট্রিপল মার্ডারের ঘটনা। কলেজ ছাত্রসংসদের নেতা এনাম, মনসুর ও শহীদকে একসঙ্গে ব্রাশ ফায়ার করে শিবিরের নেতারা।

ছাত্রসংসদের সহ-সভাপতি কায়সার হোসেন ও আরেক সহ-সভাপতি আবুল কাশেমকে একই কায়দায় ব্রাশ ফায়ারে মেরে ফেলা হয় ১৯৯৮ সালে।

এছাড়া ২০০০ সালে ছাত্রদলের হাতে নিহত হন কলেজ ছাত্রসংসদের নেতা রাসেল।

সরকারি সিটি কলেজ

সরকারি সিটি কলেজের ছাত্রনেতাদের মধ্যে ১৯৮৮ সালে সাবেক ছাত্রসংসদের জিএস কামাল উদ্দিনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল এলাকায় খুন করা হয়।

১৯৯২ সালে নিহত হন সাবেক এজিএস একেএম রাশেদুল হক। একই বছর আরেক সাবেক এজিএস আরেফিনকে হত্যা করা হয়।

১৯৯৪ সালে ছাত্রনেতা মো. ইমরান ও এহসানুল হক মনি এবং ১৯৯৬ সালে খুন হন জিয়াউদ্দিন।

১৯৯৭ সালে প্রতিপক্ষের হামলায় প্রাণ যায় ছাত্রসংসদের ক্রীড়া সম্পাদক সিনাউল হক আশিক।

ইসলামিয়া কলেজ

১৯৯৬ সালে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে খুন হন ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি ফরিদ আহমেদ। নিহত ফরিদের হত্যার বিচার চেয়ে একই বছর খুন হন কলেজ ছাত্রলীগ নেতা হুমায়ুন আহমেদ ফিরোজ।

এরপর ১৯৯৮ সালে প্রতিপক্ষের হাতে খুন হন কলেজ ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক সুমন বসু মল্লিক রিপন।

নগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এম আর আজিম বলেন, ‘রাজনীতির এই পথচলায় অনেককে হারিয়েছি। কারোরই বিচার হতে দেখিনি। তবে মামলা পরবর্তী সময়ে আমরা ঠিকমত মনিটরিং করতে পারিনি বলে কিছুটা দায় আমাদের। তবে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়াতে তরুণরা রাজনীতিবিমুখ হচ্ছে। অবস্থা দেখে যেন মনে হয় ছাত্রলীগ গনিমতের মাল, মরলেও বিচার হয় না।’

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!