চট্টগ্রামের এলএ শাখায় ক্ষতিপূরণের টাকা নিতে গিয়ে ধরা পড়ল প্রতারক

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভূমি অফিস (এলএ) থেকে শাহ আলম নামের এক প্রতারককে আটক করা হয়েছে। জালিয়াতির মাধ্যমে দুই কোটি ৪৯ লাখ ১৭ হাজার ৬০০ টাকা হাতিয়ে নিতে চেয়েছিলেন এই প্রতারক।

শাহ আলম (৪২) ফেনী জেলার সোনাগাজীর চরসোনাপুর এলাকার বাসিন্দা।

রোববার (১৭ জুলাই) তাকে জেলা এলএ শাখা থেকে আটক করা হয়। পরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

জানা গেছে, খায়রুল বশর নামের এক ব্যক্তির অধিগ্রহণকৃত জায়গা জাল দলিল বানিয়ে ক্ষতিপূরণের টাকা আত্মসাৎ করতে যান শাহ আলম। দলিল জালিয়াতি করে অধিগ্রহণকৃত ৩ দশমিক ৫০ একর জমির দুই কোটি ৪৯ লাখ ১৭ হাজার ৬০০ টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করেন তিনি। এ সময় তাকে অফিসের লোকজন আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে তাকে থানা নিয়ে যায়।

অথচ খায়রুল বশরের আসল ওয়ারিশরা হচ্ছেন স্ত্রী মোছাম্মৎ আর জাহান রীনা, ছেলে মোহাম্মদ জাফর উল্যাহ ও সাইফুল ইসলাম, মেয়ে শামসুর নাহার ও হাসনা আক্তার রোজী।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (এলএ) মাসুদ কামাল চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘মিরসরাই অর্থনৈতিক জোনের দক্ষিণ মঘাদিয়া মৌজার বিএস খতিয়ান নম্বর ৩৬৭, বিএস দাগ নম্বর ১০৮৭ এর বিপরীতে এলএ ১৩/১৭-১৮ নম্বর মামলায় ক্ষতিপূরণ পাবেন খায়রুল বশর। কিন্তু তিনি মারা যাওয়ায় আইন অনুযায়ী তার পাঁচ ওয়ারিশ এই টাকা পাবেন। তারা ক্ষতিপূরণের টাকার জন্য আবেদনও করেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আটক প্রতারক শাহ আলম আমমোক্তারনামা দাখিল করে সেই টাকা দাবি করেন। আমাদের সার্ভেয়ারদের সন্দেহ হলে আমরা ওয়ারিশদের খুঁজে বের করি এবং আমমোক্তারনামার বিষয়ে জিজ্ঞেস করি। তখন তারা জানান, পাঁচ ওয়ারিশের দু’জন প্রবাসে। বাকি তিনজনের কেউ তাকে আমমোক্তারনামা দেননি। পরে ওই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।’

আরএম/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!