চট্টগ্রামে করোনার রেডজোনে থাকছে সেনাবাহিনীর টহল

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকির বিবেচনায় রেড জোন ঘোষিত এলাকার জনসাধারণের চলাচল নিয়ন্ত্রণ এবং অন্যান্য বিধিনিষেধ নিশ্চিতে দায়িত্ব পালন করবে সেনাবাহিনী।

মঙ্গলবার (১৬ জুন) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বর্তায় জানিয়েছে ‘রেড জোন এলাকাগুলো সরকারি নির্দেশনাবলী যথাযথ পালনের উদ্দেশ্যে সেনা টহল জোরদার করা হচ্ছে।’

চট্টগ্রাম নগরীর ১০টি ওয়ার্ডকে সরকার রেডজোন হিসেবে ঘোষণা করেছে। এরই মধ্যে ১০ নম্বর উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডে মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে কঠোর লকডাউন কার্যকর হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে করোনা পরিস্থিতিস্থিতে চট্টগ্রামের বেসামরিক প্রশাসনের সাথে সমন্বয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেজর আবু সাঈদ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘রেডজোন ঘোষিত এলাকায় টহলের নির্দেশনা পেয়েছি আমরা। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আমরা আমাদের পরিকল্পনা চুড়ান্ত করেছি। সরকারের অন্যান্য প্রশাসনের সঙ্গে সমম্বয় করে এবং জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করবে আমাদের সদস্যরা।’

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ২৪ মার্চ থেকে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা মাঠে থেকে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করছে।

করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সারাদেশে টানা ৬৬ দিন সাধারণ ছুটি শেষে ৩১মে থেকে বেশিরভাগ বিধিনিষেধ তুলে নেয় সরকার। এরপর প্রতিদিন সংক্রমণ বাড়তে থাকে। তারপর করোনার বিস্তার ঠেকাতে এলাকাভিত্তিক সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বিবেচনায় লাল, হলুদ ও সবুজ জোনে ভাগ করে প্রয়োজন অনুযায়ী বিধিনিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সরকার।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গঠিত কেন্দ্রীয় টেকনিক্যাল কমিটির শনিবারের সভায় চট্টগ্রাম নগরীর ১০টি ওয়ার্ডকে রেডজোন হিসেবে চিহ্নিত করে। ১০ নম্বর উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ড ছাড়া চট্টগ্রাম নগরীর রেডজোন ঘোষিত অন্যান্য ওয়ার্ডগুলো হলো— ১৪ নম্বর লালখানবাজার ওয়ার্ড, ১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ড, ২০ নম্বর দেওয়ানবাজার ওয়ার্ড, ২১ নম্বর জামালখান ও ২২ নম্বর এনায়েতবাজার ওয়ার্ড, ২৬ নম্বর উত্তর হালিশহর ওয়ার্ড, ৩৭ নম্বর উত্তর মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ড, ৩৮ নম্বর দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ড, ৩৯ নম্বর দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ড। উত্তর কাট্টলীর পর বাকি ওয়ার্ডগুলোও পর্যায়ক্রমে লকডাউন করা হবে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন।

লাল, হলুদ, সবুজ- এই তিন ধরনের এলাকায় কীভাবে কাজ চলবে, তা নিয়ে সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ নির্দেশনা দিয়েছে। রেড জোনে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সব অফিস-কারখানা বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

এফএম/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!