লকডাউন এলাকার জন্য ৭ নির্দেশনা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের

সাধারণ ছুটির ৬৬ দিনেও চট্টগ্রামে কমছে না করোনাভাইরাসের প্রকোপ। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় করোনা প্রতিরোধে গঠিত কেন্দ্রীয় টেকনিক্যাল কমিটির পরামর্শে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো ১০ নম্বর উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডকে লকডাউন করতে যাচ্ছে। মঙ্গলবার (১৬ জুন) রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে এই লকডাউন কার্যকর হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে। এই লকডাউন আগামী ২১ দিন বহাল থাকবে।

এক গণবিজ্ঞপ্তিতে লকডাউন এলাকার জন্য সাতটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে। সেগুলো হচ্ছে—

১. লকডাউন চলাকালীন রেডজোন ঘোষিত এলাকায় প্রবেশ ও বাইরে যাওয়ার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। প্রধান সড়কে কোন প্রকার যাত্রী ওঠা-নামা চলবে না, তবে রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত পণ্যবাহী গাড়ি চলবে।

২. লকডাউন করা এলাকার মানুষের সার্বিক সহায়তার জন্য সিটি কর্পোরেশনের একাধিক কন্ট্রোল রুম ও মহল্লাভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী টিম কাজ করবে। যেকোন প্রয়োজনে উক্ত কন্টোল রুমের নাম্বারে যোগাযোগের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। কন্ট্রোল রুম নম্বরগুলো হচ্ছে ০৩১-৪৩১৫১৩৬৮, ০৩১-৪৩১৫১৩৬৯, ০৩১-৪৩১৫১৩৭০, ০৩১-৪৩১৫১৩৭১, ০৩১-৪৩১৫১৩৭২ এবং মোবাইল ০১৮১৯-০৫৬৮৪৪, ০১৮১১-৮৮৭০৮৪।

৩. লকডাউনের আওতাধীন এলাকার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট, অফিস, কল-কারখানা, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প বন্ধ থাকবে।

৪. লকডাউনের আওতাধীন এলাকাবাসী ২১ দিনের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী, ওষুধপত্র ও অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনীয় জিনিস সংগ্রহ করে রাখতে পারেন। হতদরিদ্র ও নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোর জন্য স্বেচ্ছাসেবক টিমের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে। অন্যদিকে সামর্থ্যবানদের জন্য নির্দিষ্ট ভ্যানে বা ই-কমার্সের আওতায় প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও জরুরি ওষুধ ন্যায্যমূল্যে সরবরাহ করা হবে।

৫. লকডাউন এলাকায় কোনভাবেই ঘরের বাইরে বের হওয়া যাবে না। নিজ নিজ ঘরে অবস্থান করে করোনা মহামারিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। কোন ধর্মীয় উপাসনালয়ে না গিয়ে নিজ নিজ ঘরে প্রার্থনা বা উপাসনা করতে হবে।

৬. চসিকের ব্যবস্থাপনায় কোভিড ও নন-কোভিড রোগীদের চিকিৎসা ও হাসপাতালে পাঠানোর জন্য সার্বক্ষণিক অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা থাকবে।

৭. লকডাউন এলাকায় অবস্থানকারী সকল সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারী সাধারণ ছুটির আওতায় থাকবেন। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে তারা যাতে কোনো ধরনের সমস্যার সম্মুখীন না হন সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!