চট্টগ্রামের মোড়ে মোড়ে পুলিশের তল্লাশি চৌকি, গোয়েন্দা নজরে কিশোর গ্যাং

৯০০০ পুলিশ পাহারা দেবে চট্টগ্রাম সিটির ভোট

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ ধরে রাখতে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে মেট্রোপলিটন পুলিশ। এক্ষেত্রে কেউ আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতির চেষ্টা করলে সে যে দলেরই হোক ন্যূনতম ছাড় না দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন সিএমপি কমিশনার।

সহিংসতা রোধে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে থাকছে বাড়তি নজরদারি। নগরের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে স্থাপন করা হয়েছে তল্লাশি চৌকি। এছাড়া গোয়েন্দা নজরদারির আওতায় থাকছে চট্টগ্রামের চিহ্নিত ও উঠতি সন্ত্রাসী এবং কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা।

সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, যেসব এলাকায় সহিংসতা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে আমরা সেসব এলাকার দিকে বাড়তি নজর দিচ্ছি। মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তাছাড়া গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এলাকার চিহ্নিত ও উঠতি সন্ত্রাসী এবং কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, কেউ যদি সুষ্ঠু নিবার্চন পরিচালনায় বাধা হয়ে দাঁড়ায়, আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করে আমরা তাকে কঠোর হাতে দমন করব। কোনোভাবেই তাকে ছাড় দেওয়া হবে না, সে যে দলেরই হোক না কেন।

চট্টগ্রামের মোড়ে মোড়ে পুলিশের তল্লাশি চৌকি, গোয়েন্দা নজরে কিশোর গ্যাং 1

অবৈধ অস্ত্র প্রসঙ্গে সিএমপি কমিশনার বলেন, পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের তালিকা অনুযায়ী চট্টগ্রামে ২ হাজার ৪৭৭টি বৈধ অস্ত্র রয়েছে। এসব অস্ত্র কখন জমা দিতে হবে তা শিডিউল করে দেবে নির্বাচন কমিশন। এটা নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারে। আমরা নির্বাচনে কোনো প্রকার বৈধ কিংবা অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার চাই না।

এবারের নির্বাচনে নয় হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন রাখার তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনে কতজন ফোর্স প্রয়োজন হতে পারে এমন দিকনির্দেশনা নির্বাচন কমিশন দিয়ে থাকে। দিক-নির্দেশনা অনুযায়ী ফোর্স বাড়ানোর প্রয়োজন হলে আমরা তা করব। সাধারণ পুলিশের পাশাপাশি ডিবি, কাউন্টার টেরোরিজম এবং সোয়াট টিমও দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত থাকবে।

এআরটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!