চকরিয়ায় ২ বাড়িতে ডাকাতি, টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট

আহত ৪

কক্সবাজারের চকরিয়ায় দরজা ভেঙ্গে প্রবাসীর ঘরসহ দুটি বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। এ সময় ডাকাতরা স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ ৩০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। ডাকাতির পিটুনিতে নারী ও শিশুসহ ৪ জন আহত হয়েছে।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাতে উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের আব্দুল জব্বার সিকদার পাড়ার প্রবাসী হুমায়ুন কবির ও পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাছিম আলী সিকদার পাড়ার মঞ্জুর আলমের বাড়িতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

৮-৯ জনের স্বশস্ত্র ডাকাত দল ১১ মাসের শিশু সন্তান ও পরিবারের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ঘরের আলমিরা ভেঙ্গে নগদ ৪ লাখ টাকা ও ৬৪ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায় বলে পরিবার জানিয়েছে।

প্রবাসী হুমায়ুন কবিরের স্ত্রী সাদিয়া জামান বলেন, ‘৮-৯ জনের স্বশস্ত্র ডাকাতদল বাড়ির দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে প্রথমে পরিবারের সবাইকে জিম্মি করে। আলমিরা ভেঙ্গে নগদ ২ লাখ টাকা ও ৭ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। তারা আমার ঘরের বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাংচুর করে। এ সময় ডাকাতরা শাশুড়ি খালেদা বেগমকে (৫০) বন্দুক দিয়ে পিঠিয়ে আহত করে।

মনজুর আলম বলেন, ‘আমার নাতনী ১১ মাস বয়সী শিশু সানজিদাকে গলার উপর পা রেখে অস্ত্র ঠেকিয়ে নগদ ২ লক্ষ টাকা ও ৭ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়। এ সময় আমাকে ও আমার দুই ছেলে রেজাউল করিম (২৮) ও আবদুল হামিদকে (২৫) বন্দুকের বাট দিয়ে পিঠিয়ে গুরুতর আহত করে।’

সাহারবিল ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘গত ৫০ বছরে এ ধরনের কোনো ডাকাতি হয়নি। নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার ছাড়া ঘরের দামি জিনিসপত্র ও ভাংচুর করে ডাকাতদল।’

প্রবাসী হুমায়ুন কবিরের মা খালেদা বেগম বলেন, ‘আমার তিন ছেলে প্রবাসে থাকে। ঘরে কোনো পুরুষ না থাকার সুযোগ নিয়ে ডাকাতদল হানা দেয়।’

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘জরুরি সেবা ৯৯৯ থেকে জানতে পারি সাহারবিল ইউনিয়নের এক প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি হচ্ছে। ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে এসআই চম্পক বড়ুয়ার নেতৃত্বে একদল ঘটনাস্থলে একদল পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ততক্ষণে ডাকাতদল ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যায়। সকালে আমি ও চকরিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার কাজী মো.মতিউল ইসলাম সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।’

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!