চকরিয়ায় ইয়াবাসহ শ্বাশুড়ি-জামাতা আটক

চকরিয়ায় ইয়াবাসহ শ্বাশুড়ি-জামাতা আটক 1মুকুল কান্তি দাশ,চকরিয়া: কক্সবাজারের চকরিয়ায় টানা ৬ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে ইয়াবাসহ শ্বাশুড়ি-জামাতা ও রোহিঙ্গা নাগরিকসহ তিন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ২২ লাখ ৬৫ হাজার টাকা মূল্যের ৭ হাজার ৫৫০ পিস ইয়াবা বড়ি।
সোমবার সকাল ১০ টা থেকে অভিযান শুরু করে বিকাল ৪টায় ইয়াবাসহ ব্যবসায়ীদের আটক করা হয় বলে পুলিশ দাবি করেন। আটককৃতরা হলেন-মৃত মোজাফ্ফর আহমদের স্ত্রী আনার কলি (৪০), তার জামাতা মৃত মোজাফ্ফর আহমদ সিকদারের ছেলে পারভেজ মোশারফ (২৫) ও রোহিঙ্গা মো.ছালাম (৩৫)। আটকদের মধ্যে আনার কলি গত ইউপি নির্বাচনে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে গোলাপ ফুল প্রতিক নিয়ে প্রার্থী হয়েছিলেন পূর্ব বড় ভেওলা থেকে। তার জামাতা পারভেজের আদি বাড়ি কুতুবদিয়ায়। বর্তমানে সে কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া ও পুর্ব বড় ভেওলার শশুর বাড়িতে বাস করে।
অপর আটক রোহিঙ্গা ছালাম পুলিশের কাছে স্বীকার করেন, সে উখিয়া শরনার্থী ক্যাম্পে আশ্রয়ে রয়েছে। সেখান থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নজর এড়িয়ে ইয়াবা পাচার করতে আসে।
অভিযানে অংশ নেন চকরিয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার(এএসপি) কাজী মতিউল ইসলাম, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.জহিরুল ইসলাম খান, থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাউছার আহমদ চৌধুরী ও এনামুল হকসহ একদল পুলিশ।
এএসপি মতিউল ইসলাম বলেন, সকাল সাড়ে ৯টায় খবর পায় একজন রোহিঙ্গা বিপুল ইয়াবা নিয়ে চকরিয়ায় ঘুরছে। এই ইয়াবা স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীদের হস্তান্তর করবে। এই খবরের ভিত্তিতে নির্ভরযোগ্য এক সোর্স নিয়োগ করা হয় ইয়াবার ক্রেতা হিসেবে। ওই সোর্স ইয়াবা ক্রয়ের প্রস্তাব দিলে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা বেশ ক’টি স্থান বদল করে। ফলে, সকাল ১১টার দিকে চকরিয়া পৌরসভার খোদারকুম এলাকা থেকে আটক করা হয় চকরিয়া উপজেলার পূর্ব বড় ভেওলার হেতালিয়া পাড়ার মোজাফ্ফর আহমদ সিকদারের ছেলে পাভেজ মোশারফ কে। তার স্বীকারোক্তি মতে বিকাল ৩টায় চোয়ার ফাঁড়ির ব্রীজ এলাকা থেকে আটক করা হয় তার শ্বাশুড়ি মৃত মোজাফ্ফর আহমদের স্ত্রী আনার কলি কে। পরে বিকাল ৪টার দিকে পৌর এলাকার থানা রাস্তার একটি হোটেল থেকে আটক করা হয় মায়ানমারের মংডু কুলারবিল এলাকার মোহাম্মদ শরীফের ছেলে মোহাম্মদ ছালামকে। তাদের কাছ থেকে ছোট ৬৭টি প্যাকেটে ৫০ টি করে ৩ হাজার ৩৫০ পিস ও বড় ১৪ প্যাকেটে ৩’শ করে ৪হাজার ২’শ পিস ইয়াবা বড়ি উদ্ধার হয়। উদ্ধার হওয়া ৭হাজার ৫৫০ পিস ইয়াবা বড়ির আনুমানিক মূল্য ২২ লাখ ৬৫ হাজার টাকা।
চকরিয়া থানার ওসি মো.জহিরুল ইসলাম খান বলেন, ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তারের ঘটনায় মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি ও রোহিঙ্গার বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে আরো একটি মামলা দায়ের হয়েছে। দুই মামলারই বাদি থানার এসআই কাউছার আহমদ চৌধুরী।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!