গ্রেনেড হামলার জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে চট্টগ্রামে শ্রমিক সমাবেশ

২১ আগস্ট বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে সমাবেশ করেছে চট্টগ্রামের সর্বস্তরের শ্রমিক-কর্মচারীরা। শনিবার (২২ আগস্ট) সন্ধ্যায় নগরীর ইপিজেড মোড়ে বে-শপিং সেন্টার আঙিনায় শ্রমিক লীগের অন্তর্ভূক্ত সিবিএ-নন সিবিএ বেসিক ইউনিয়ন সমন্বয় পরিষদের ব্যানারে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। দেশের উন্নয়নে তার কোন বিকল্প নেই। তাই দেশকে এগিয়ে নিতে তাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। আর যারা দেশের শত্রু, স্বাধীনতাবিরোধী তারাই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে তাকে হত্যার চেষ্টা করেছিলেন।’

সমাবেশে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে সাবেক সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘২০০৪ সালে ২১ আগস্ট বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে রাষ্ট্রীয় মদদে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যায় গ্রেনেড হামলা করা হয়েছিল। তৎকালীন সরকার হামলাকারীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে নিরাপত্তা দিয়েছিল। একই গোষ্ঠী ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করলেও দেশের বাইরে থাকায় সেদিন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বেঁচে গিয়েছিলেন। সেই শোকের মাস আগস্টে শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে গ্রেনেড হামলা করা হয়েছিল। তাই ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্ট একই সূত্রে গাঁথা।’

চট্টগ্রামের হকারদের নির্বিঘ্নে ব্যবসা করার সুযোগ করে দেওয়া হবে জানিয়ে আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘চট্টগ্রাম শহরে প্রায় ৭০ লাখ মানুষ বাস করেন। তারা সবাই বিত্তবান নন। এখানে দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষও বসবাস করেন। তারা নিউমার্কেটে কেনাকাটা করতে পারেন না। হকাররা ব্যবসা করে বলেই দরিদ্র লোকজন সস্তায় কেনাকাটার সুযোগ পান। তাই দুই পক্ষের কথা বিবেচনা করে হকারদের ব্যবসা করার সুযোগ দিতে হবে। নিজেই দায়িত্ব নিয়ে এ বিষয়ে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলারও প্রতিশ্রুতি দেন আজম নাছির।’

ইপিজেড হকার্স শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. ডালিমের সভাপতিত্বে ও সিবিএ-নন সিবিএ বেসিক ইউনিয়ন সমন্বয় পরিষদের সদস্য সচিব মিরন হোসেন মিলনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি সফর আলী, সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ অয়েল অ্যান্ড গ্যাস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের মহাসচিব মুহাম্মদ এয়াকুব, ইপিজেড থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হারুনুর রশিদ, সাবেক কাউন্সিলর গোলাম মো. চৌধুরী, মহানগর শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি কামাল উদ্দিন, সাবেক ছাত্রনেতা ইয়াসির আরাফাত, চট্টগ্রাম দোকান শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. আলমগীর, বৃহত্তর চট্টগ্রাম পরিবহন শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল বিশ্বাস প্রমুখ।

সভায় শ্রমিক নেতা মুহাম্মদ এয়াকুব বলেন, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনা হয়েছিল হাওয়া ভবনে। তারেক রহমানের তত্ত্বাবধানে বিএনপি-জামায়াতের মদদে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে দেশে পাকিস্তানি ভাবধারা ফিরিয়ে আনতে চেয়েছিলেন তারা।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!