‘গায়ের জোরে’ বিপ্লব উদ্যানে উচ্ছেদ— চসিক প্রশাসক সুজনসহ ৫ জনকে আদালতের শোকজ

চট্টগ্রামের ষোলশহর বিপ্লব উদ্যানে সিটি কর্পোরেশনের ‘বেআইনি’ উচ্ছেদ কাজে কেন অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে না— এটি জানতে চেয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজনসহ ৬ প্রতিপক্ষকে ৫ দিনের সময় দিয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত।

বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) স্টাইল লিভিং আর্কিটেক্টসের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের করা আবেদনের শুনানি শেষে চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাইল হোসেনের আদালত এই আদেশ দিয়েছেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বিকেলেই আদালতের দেওয়া এই শোকজ নোটিশ চসিকে পাঠানো হয়েছে।

মামলায় ১ নম্বর প্রতিপক্ষ হিসেবে নাম রয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজনের। ২ নম্বরেও প্রশাসক হিসেবে আছেন সুজন। এছাড়া প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মো. মোজাম্মেল হক, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ একেএম রেজাউল করিম এবং প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমেদকে এই মামলায় প্রতিপক্ষ করা হয়েছে।

চুক্তির শর্তভঙ্গের অভিযোগ এনে নগরীর ষোলশহর ২ নম্বর গেট এলাকার বিপ্লব উদ্যানে চসিকের উচ্ছেদ অভিযান অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিলেন মিজানুর রহমান।

ওই আবেদনে বিপ্লব উদ্যানে দোকান নির্মাণের ক্ষেত্রে কোনরকম চুক্তির ব্যত্যয় ঘটেনি দাবি করে সেখানে চসিকের তরফ থেকে চালানো উচ্ছেদ অভিযানকে ‘অবৈধ’ ও ‘একতরফা’ দাবি করে চসিক প্রশাসক সুজনসহ ৫ জনকে প্রতিপক্ষ হিসেবে উল্লেখ করে এ ধরনের অভিযানের বিরুদ্ধে অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন বাদী।

আবেদনে বাদি প্রতিপক্ষরা যাতে তপশীলের সম্পত্তিতে প্রবেশ করতে না পারে, দুই তলাবিশিষ্ট দোকানগুলো যেন ভেঙে ফেলতে না পারে, নালিশী সম্পত্তির রূপ যাতে পরিবর্তন না পারে, চুক্তি অনুযায়ী চলমান উন্নয়নকাজ এবং দোকানের ব্যবসায় যেন বাধা না দিতে পারে— সে ব্যাপারে আদালতের কাছে আদেশ চেয়েছেন। বাদি মিজানুর রহমান সালিশি কার্যক্রম নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞার আদেশ চান।

পরে বাদীর দাবি অনুযায়ী এই উচ্ছেদ কাজে কেন অন্তবর্ত্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে চসিক প্রশাসক সহ সেই ৫ জনকে আগামী ৫ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন আদালত।

আদালতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন এডভোকেট সাকিব রহমান ও এডভোকেট আব্দুর রহমান।

এদিকে জানা গেছে, বিপ্লব উদ্যানে বরাদ্দ হওয়া ২৫টি দোকানের ব্যবসায়ীরাও চসিকের বিরুদ্ধে পৃথক মামলায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ব্যবসায়ীরা জানান, শিগগিরই তারা আদালতে ক্ষতিপূরণ চেয়ে ২৫টি পৃথক মামলা করতে যাচ্ছেন।

এআরটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!