চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদের খোলা ড্রেনে পড়ে যাওয়ার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী সাদিয়াকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন সঙ্গে থাকা তার মামা। কিন্তু ড্রেনের পানিতে বেশ কিছুক্ষণ খোঁজ করার পরও ভাগ্নিকে না পেয়ে খবরটি জানানো হয় পুলিশকে। কিন্তু এর মধ্যেই বেশ কিছুটা সময় পেরিয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, ওই সময়ের মধ্যে ড্রেনের পানিতে ভেসে যান সাদিয়া।
এদিকে মধ্যরাতে উৎসুক জনতার অযথা ভিড়ের কারণে চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদের খোলা ড্রেনে পড়ে নিখোঁজ হওয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী উদ্ধারে বেশ বেগই পেতে হচ্ছে উদ্ধারকাজে সম্পৃক্তদের। উদ্ধার কাজে নেওয়া বিভিন্ন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য বারবার ঘটনাস্থলে জমায়েত হওয়া মানুষদের সরে যেতে বললেও ঘটনাস্থলে উল্টো আরও ভিড় বাড়ছে।
সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে এক আত্মীয়সহ চশমা কিনে বাসায় ফেরার পথে আগ্রাবাদ মাজার গেইট ও আগ্রাবাদ মোড়ের মাঝামাঝি এলাকায় ডায়মন্ড রেস্টুরেন্টের বিপরীত পাশের ড্রেনে পড়ে নিখোঁজ হয়ে গেছেন সাদিয়া নামের (১৯) ওই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী। তিনি চট্টগ্রামের আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (আইআইইউসি) শিক্ষার্থী।
ঘটনার পর থেকেই তাকে উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
ঘটনাস্থল থেকে টেলিভিশন চ্যানেল ছাড়াও বিভিন্ন ব্যক্তিগত আইডি থেকে লাইভ স্ট্রিমিং করছেন অনেকে। এসব ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে মাইক হাতে বারবার উৎসুক মানুষকে সরে যেতে বলছেন উদ্ধারকাজে সংশ্লিষ্টরা।
উদ্ধার কাজে বিভিন্ন সরঞ্জামাদি আনা-নেওয়া করতে এবং ড্রেনের ময়লা সরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে মানুষের এই জটলা অসুবিধা তৈরি করছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার হওয়া এসব লাইভ ভিডিওর কমেন্ট সেকশনেও অনেককে এই অনাহুত জটলা নিয়ে সমালোচনা করতে দেখা গেছে।
এদিকে রাত দেড়টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সাদিয়ার কোনো খোঁজ মিলেনি।
নিখোঁজ সাদিয়া চট্টগ্রামের হালিশহর থানার মইন্যাপাড়া এলাকার বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন ঘটনাস্থলে থাকা ডবলমুরিং থানার উপ পরিদর্শক মারুফ উল ইসলাম।
তিনি জানান, ‘সাদিয়ার মামা তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে থানায় জানানোর সাথে সাথেই আমরা ঘটনাস্থলে যাই।’
সিপি