কোরবানির আগেই কওমি মাদ্রাসাগুলো চায় খোলার সিগন্যাল

কোরবানি ঈদের আগেই কওমি মাদ্রাসাগুলো খুলতে চায় তত্ত্বাবধানকারী কর্তৃপক্ষ। হেফজখানাগুলো খুলে দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে। ‘সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি’ মেনে চলার শর্তেই তারা মাদ্রাসা খোলার অনুমতি চাইছে। তাদের ভাষ্যে, মসজিদে যেমন স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুমতি দেওয়া হয়েছে, মাদ্রাসাগুলোও সেভাবে পরিচালনা করা হবে। এমন অবস্থায় কওমি মাদ্রাসাগুলোর সমন্বিত বোর্ড বেফাক এখন সরকারপ্রধানের সিগন্যালের অপেক্ষায় রয়েছে।

কওমি মাদ্রাসা খোলার ব্যাপারে ইতিমধ্যে সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও সচিবের সঙ্গে আলোচনার পর আলেমরা বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) দেখা করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গেও। ওই বৈঠকে বিষয়টি সরকারপ্রধান সিদ্ধান্ত দেবেন বলে আলেমদেরকে জানানো হয়েছে।

করোনায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গত ১৭ মার্চ দেশের সব কওমি মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। গত ১ জুন কওমি মাদ্রাসাগুলোকে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মানার শর্তে শুধুমাত্র অফিস খোলার অনুমতি দেয় ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

এদিকে করোনায় আর্থিক সংকটে পড়েছে কওমি মাদ্রাসাগুলো। কোরবানির সময় পশুর চামড়া সংগ্রহ করা কওমি মাদ্রাসাগুলোর দীর্ঘদিনের রীতি। মাদ্রাসাগুলোর অর্থ আয়ের অন্যতম বড় উৎসও এটি। এখন কোরবানির আগেই মাদ্রাসা খুলে দেওয়া না হলে এই আয়টুকুও হারাতে হবে মাদ্রাসাগুলোকে— এমন শঙ্কাও রয়েছে তাদের মধ্যে।

অন্যদিকে কওমি মাদ্রাসায় শিশু শিক্ষার্থীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক এবং আবাসিক শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বেশি। সে কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা যাবে কিনা— এ নিয়েও রয়েছে উল্টো শঙ্কা। যদি মেনে চলা না যায়, তাহলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তবে সবকিছুই এখন সরকারপ্রধানের সিদ্ধান্তের ওপরই নির্ভর করছে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!