কিশোর গ্যাং বন্ধুদের হাতেই খুন হামজারবাগের সাগর

চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানার হামজারবাগ এলাকায় কথা কাটাকাটির জের ধরে ঈদের দিন কিশোর গ্যাং বন্ধুর হাতে খুন হয়েছেন মো. সাগর (২২) নামে এক যুবক।

সোমবার (২৫ মে) বিকেল ৩ টায় হামজা খাঁ লেইনের করিম ভিলার সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাগর ওই এলাকার মো. আবুল কালামের ছেলে। এ ঘটনায় মো. আবুল কালাম বাদি হয়ে পাঁচলাইশ থানায় ৪ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।

আসামিরা হলেন, হামজা খাঁ লেইন হাসু মিয়ার বাড়ির মৃত সমির ড্রাইভারের ছেলে মো সাব্বির হোসেন (২১) ও তার ভাই হৃদয় (২০), মো. হাসান (৩৫), বোয়ালখালী কলোনির মো. খোকনের ছেলে মো জনি (২০)।

জানা যায়, সাব্বির, হৃদয়, জনি, হাসান সবাই নিহত সাগরের বন্ধু। সাব্বির ও হৃদয় সম্পর্কে ভাই। বাবা-মা বিহীন এই দুই ভাই হামজারবাগ হামজা খাঁ লেইনে নানার বাড়িতে থাকেন। এই দুই ভাইসহ হাসান ও জনি এলাকায় কিশোর গ্যাং হিসেবে পরিচিত। মাস তিনেক আগেও সাব্বির আরও একজনকে ছুরিকাঘাত করেছিলেন। স্থানীয় মো. সাহেদ নামের এক কিশোর গ্যাং নেতার ছত্রছায়ায় তারা এলাকায় নানা অপরাধ করে বেড়ায় বলে জানা যায়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, রোববার (২৫ মে) সাগরের এক বন্ধু তাদের বাসায় আসলে বাইরের লোক এলাকায় আসা-যাওয়া নিয়ে সাব্বিরের সাথে সাগরের কথা কাটাকাটি হয়। ঈদের দিন বিকেল ২টার দিকে সাব্বির, হৃদয়, জনি সাগরের কাছে আবারও বাইরের লোক এলাকায় কেন এনেছে জানতে চাইলে- এ নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে তিনজন মিলে সাগরকে বাঁশ দিয়ে বেদড়ক পিটায়। প্রাণে বাঁচতে সাগর দৌঁড়ে চাচির ঘরে আশ্রয় নিয়ে রক্ষা পায়। এর এক ঘন্টা পর বিকেল ৩টায় করিম ভিলার সামনে সাগরকে পেয়ে ওরা আবারও আক্রমণ করে। এ সময় হাসান সাগরের দু’হাত ধরে রাখে সাব্বির তার বুকে পর পর তিনটি ছুরিকাঘাত করে। ছুরিকাঘাতে সাগর মাটিতে লুটিয়ে পুড়লে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত সাগরের পিতা মো. আবুল কালাম বলেন, আমার ছেলেকে ওরা বাঁচতে দিল না। ঈদের দিন প্রকাশ্যে সবার সামনে ছেলেটাকে মেরে ফেললো। আমি এখন থানায় ছেলের লাশের জন্য বসে আছি। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পাঁচলাইশ থানার এসআই মো. নুরুল আলম আশেক বলেন, সাগর হত্যায় অভিযুক্ত মো. হাসান নামের একজনকে আটক করেছি। অন্য আসামিদের ধরতে অভিযানে চলছে। আশা করি দ্রুত সময়ে বাকি আসামিরা ধরা পড়বে।

সিএম/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!