করোনা শঙ্কা চট্টগ্রাম সিটির ভোটে, সভা-সমাবেশে ‘না’ মন্ত্রণালয়ের

দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ায় আপাতত সব ধরনের সভা-সমাবেশ স্থগিত করার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে সরকার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর আয়োজন ‘মুজিব বর্ষ’র কর্মসূচি কাটছাঁট করেছে। পরিবর্তন আনা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন কর্মসূচিতেও। তাই বেসরকারি উদ্যোগে অনুষ্ঠিতব্য সভা-সমাবেশও আপাতত না করার জন্য পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সেই পরামর্শ এখন শহরজুড়ে আলোচনার বিষয়ে পরিণত হয়েছে। অনেকেই ভাবছেন প্রচার প্রচারণায় তো বটেই, করোনার প্রভাব পড়তে পারে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেও। যা সোমবার (৯ মার্চ) জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে প্রতীক বরাদ্দের পর মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের কথায়ও স্পষ্ট। তিনি জানান, প্রচুর জনসমাগম হয় এমন কর্মসূচি আমি দিচ্ছি না। পিকআপে চড়ে, দূর থেকে প্রচারণা করবো। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা চালাবো।

করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক গণমাধ্যমকে বলেন, করোনা ভাইরাসে বাংলাদেশকে মূলত দুটি ঝুঁকি মোকাবেলা করতে হবে। প্রথমত আমাদের জনসংখ্যার ঘনত্ব বেশি হওয়ায় মানুষজন ফুটপাত ও রাস্তায় গায়ে গায়ে ঘেঁষে চলাচল করেন। এই পরিবেশে করোনা সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি আছে। দ্বিতীয়ত আমাদের অভিবাসীদের যাতায়াতে বিদেশ থেকে সংক্রমিত অবস্থায় প্রবেশ করতে পারে করোনা ভাইরাস। এই দুটি ঝুঁকি যদি আমরা যথাযথভাবে মোকাবেলা করতে পারি তবে করোনা সংক্রমণ ঠেকানো সম্ভব।

রোগ তত্ত্ব, রোগ নির্ণয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, দেশে তিন জন করোনা ভাইরাস রোগী শনাক্ত হয়েছে। যাদের মধ্যে দুজন পুরুষ। একজন নারী। তিনজনের দুজন আবার ইতালিফেরত। তাদের বয়স ২০ থেকে ৩৫-এর মধ্যে। এই তিনজন ছাড়াও আরো দু’জনকে করোনা সন্দেহে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। জ্বর ও কাশি নিয়ে এই তিন ব্যক্তি আইইডিসিআরের হটলাইনে যোগাযোগ করেন। এরপর গত ২৪ ঘন্টায় তাদের নমুনা পরীক্ষা করার পর নিশ্চিত হওয়া যায় তারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত।

করোনা ভাইরাস দেশে প্রবেশ করার খবর চাউর হওয়ার পর জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। নিত্যপণ্য কেনার জন্য বাজারে মানুষের ভিড় লেগে যায়। বেশি ভিড় ছিল মাস্কের দোকানে। একপর্যায়ে মাস্ক ফুরিয়ে যায়। দাম বৃদ্ধি তো ছিলই। কাঁচাবাজারেও করোনার প্রভাব পড়ে। বাসে, ট্রেনে, লঞ্চে সবার মধ্যেই ছিল আতঙ্কের ছাপ। অভিভাবকরা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন তাদের ছেলেমেয়েদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠানো নিয়ে। তবে সরকারের তরফ থেকে বার বার বলা হচ্ছে, আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক হতে।

এফএম/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!