কক্সবাজারে পর্যটক নেই আশানুরূপ, বাতিল হচ্ছে বুকিংও

করোনা আতঙ্কের প্রভাব

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের কারণে প্রভাব পড়েছে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পে। গত কয়েক দিনে কমেছে পর্যটকের আসা-যাওয়া। হোটেল মোটেলগুলো থেকে পর্যটকরা চলে যেতে শুরু করেছে। অধিকাংশ হোটেলের অগ্রিম বুকিংও বাতিল হচ্ছে। ফলে ভর পর্যটন মৌসুমেও কক্সবাজার সাগর সৈকত ও কলাতলী হোটেল মোটেল জোনে পর্যটকদের গিজগিজ ভাব নেই। হোটেল মোটেল ব্যবসায়ীরা আশংকা করছেন করোনার প্রভাবে পর্যটন নির্ভর এই ব্যবসায় জড়িতদের পাশাপাশি দেশের পর্যটনশিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

দেশে তিনজন করোনা রোগী শনাক্তের পর থেকে এ ধরনের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। সংশ্লিষ্টদের তথ্য অনুযায়ী, কক্সবাজারে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৪৬০টি হোটেল রয়েছে। পর্যটন মৌসুমে গড়ে লক্ষাধিক পর্যটক এখানে অবস্থান করেন।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্টহাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার শনিবার (১৪ মার্চ) রাতে মুঠোফোনে বলেন, ‘পর্যটকদের মাঝে করোনাভাইরাস ভীতি কাজ করছে। তাই বর্তমান সময়ে যে তুলনায় পর্যটক আসার কথা ছিল সেই তুলনায় আসেনি। পাশাপাশি আগের কিছু কিছু বুকিংও বাতিল করে দিয়েছে অনেক পর্যটক।’

এদিকে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় প্রাথমিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে। ১০০ শয্যার পৃথক ইউনিট রাখা হয়েছে। জোরদার রয়েছে বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরে থার্মাল স্ক্যানার পরীক্ষা। রোহিঙ্গাদেরও সচেতন করা হচ্ছে। সচেতনতামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়নে গঠন করা হয়েছে কমিটি। ভাইরাসকে পুঁজি করে বাড়তি দামে মাস্ক বিক্রেতাদের জরিমানা করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী জরুরি মুহুত্বের জন্য ১০০ শয্যার ইউনিট ছাড়াও ২৪ ঘণ্টা কাজ করতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে মেডিকেল টিম।

এদিকে করোনা নিয়ে আতংকিত না হয়ে চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুযায়ী সচেতন থাকার কথা বলছেন সিভিল সার্জন ডা. মো. মাহবুবুর রহমান।

এ বিষয়ে আতংকিত না হয়ে সচেতন থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন জেলা প্রশাসক। জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন শনিবার রাতে মুঠোফোনে এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। শনিবার সকালে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে পর্যটন সংশ্লিষ্টদের সাথে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মতবিনিময় সভা করা হয়েছে। এ সময় হোটেল মালিকদের করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতামূলক লিফলেট রাখা, হোটেলে অবস্থানকারীদের হাত ধোঁয়ার ব্যবস্থা রাখতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!