একজন থেকেই যেভাবে ১৪ জনে ছড়াল ব্যাংকের এক শাখায়

চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলাটিতে বেড়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ১৭ জনের মধ্যে সোনালী ব্যাংক হাটহাজারী শাখার ১৪ কর্মকর্তা-কর্মচারী আক্রান্ত হলে বন্ধ হয়ে যায় ব্যাংকটির কার্যক্রম। ১৫-২০ দিন আগে এক ক্যাশিয়ারের আক্রান্ত হওয়ার পর সোনালী ব্যাংক হাটহাজারী শাখায় একে একে প্রায় সবাই আক্রান্ত হচ্ছেন।

এদিকে ব্যাংকের কার্যক্রম বন্ধ হলে সমস্যা নিরসনে জরুরি সেবা চালুর জন্য এগিয়ে এলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন। জানতে চাইলে রোববার (৩১ মে) তিনি বলেন, ‌‘সোনালী ব্যাংক হাটহাজারী শাখার ১৪ কর্মকর্তা করোনা আক্রান্ত হলে স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায় ব্যাংকটির। এতে সরকারি বিভিন্ন বরাদ্দের বিল আটকে গিয়ে টাকা ল্যাপস হয়ে যাবে। তাই আমি ব্যাংকটির জরুরি সেবা কার্যক্রম চালুর ব্যাপারে উদ্যোগ নিই।’

জানা গেছে, বুধবার (২৭ মে) হাটাহাজারীতে ৮ জন আক্রান্তের দিনে তালিকায় ছিল সোনালী ব্যাংকের এক নারী কর্মকর্তার নামও। চব্বিশ ঘণ্টার ব্যবধানে (২৮ মে) আক্রান্তের সংখ্যাটি ৪ গুণ বেড়ে একলাফে ২৬ জন আক্রান্ত হয়ে তালিকায় উঠে ব্যাংকটির ৭ কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম। পরবর্তীতে আরো ৪ জনের আক্রান্ত হলে ব্যাংকটির এই শাখার ১৭ কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে ১৪ জনই কর্মকর্তাই করোনা আক্রান্ত। এতে সরকারি লেনদেনসহ সব ধরনের লেনদেন বন্ধ হয়ে যায়। রাষ্ট্রায়ত্ত্ব এই ব্যাংকটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে বিপাকে পড়ে উপজেলার মানুষ।

সরকারি বরাদ্দ বিল উত্তোলনসহ অন্যান্য কার্যক্রম জরুরি সেবা চালু হল। কর্মকর্তা কর্মচারীরা সুস্থ হয়ে ফিরে এলে ব্যাংকটির স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

সিএম/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!