উপন্যাস নিষিদ্ধের প্রতিবাদ জানালো ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি

কওমি মাদ্রাসার শিশুদের ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে লেখা ‘বিষফোঁড়া’ উপন্যাসটি নিষিদ্ধ করার প্রতিবাদ জানিয়েছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। কওমি মাদ্রাসায় শিশু নির্যাতনের বিষয়টি তদন্ত করতে উচ্চ পর্যায়ের কমিশন গঠনের পাশাপাশি ‘বিষফোঁড়া’ উপন্যাসটির নিষিদ্ধের ঘোষণা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

শুক্রবার (২৮ আগস্ট) এক বিবৃতিতে সংগঠনটি বলেছে, ‘ধর্মব্যবসায়ী মৌলবাদীদের তুষ্ট করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যেভাবে একজন উদীয়মান মুক্তমনা লেখকের উপন্যাস নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে, যেভাবে নিকট অতীতে আমাদের মাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠ্যপুস্তক থেকে সাম্প্রদায়িক বিবেচনায় বাংলা সাহিত্যের বরেণ্য লেখকদের রচনা বাদ দেওয়া হয়েছে এতে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভুলুণ্ঠিত হয়েছে এবং জঙ্গি মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছে।’

কওমী মাদ্রাসাগুলোতে শিশু ধর্ষণ নিয়ে লেখা উপন্যাস ‘বিষফোঁড়া’ ‘জননিরাপত্তার জন্য হুমকি’ বলে বিবেচিত হওয়ায় সেটি নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, বইটির কারণে কওমী মাদ্রাসার শিক্ষকদের অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে।

২৪ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক শাখা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সাইফুল বাতেন টিটোর লেখা ও জংশন প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত উপন্যাস ‘বিষফোঁড়া’র বিষয়বস্তু দেশের শান্তিশৃঙ্খলা পরিপন্থী। বইটি জননিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে বিবেচিত হওয়ায় বাংলাদেশে বইটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।

ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির ও সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল সভ্য দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিশুদের প্রতি যে কোনও ধরনের শারীরিক নির্যাতন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অথচ আমাদের গণমাধ্যমে অহরহ আবাসিক কওমি মাদ্রাসায় শিশুদের উপর যৌন নির্যাতনসহ নানাবিধ শারীরিক নির্যাতনের সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে। বাংলাদেশে নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর আইন থাকা সত্ত্বেও আজ পর্যন্ত কোনও শিশু নির্যাতনকারীকে দৃষ্টান্তমূলক সাজা প্রদান করা হয়েছে এমন তথ্য আমাদের জানা নেই।’

প্রসঙ্গত, বইটির লেখক সাইফুল বাতেন টিটো ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির গবেষণা সেলের সদস্য।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!