ইমু-দস্তগীরে অনাস্থা নগর ছাত্রলীগের ৪৬ নেতার

চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের ৪৬ নেতা। নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও কার্যনির্বাহী সভা ছাড়াই সিদ্ধান্ত নেয়ার অভিযোগ এনে তাদের সব ধরণের কর্মকান্ডকে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছেন ওই ৪৬ নেতা।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের উপদপ্তর সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন টিটু সাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়। বিবৃতিতে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক চট্টগ্রামের ছাত্র রাজনীতিতে অরাজকতা ও বিশৃংখলা সৃষ্টি করে বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে ধ্বংসের পাঁয়তারা করছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

কোনও কার্যনির্বাহী সভা ছাড়া, কারও সাথে পরামর্শ না করে অযোগ্য ও বিতর্কিতদের দিয়ে রাতের আঁধারে মহানগরের দুই থানা ইউনিটের কমিটি অনুমোদন দেয়ায় এই অনাস্থা প্রস্তাব দেয়া হয়েছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

অনাস্থা দেয়া ৪৬ জনের অন্যতম একজন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সহসভাপতি তালেব আলী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘কারও সাথে কোনও আলাপ আলোচনা না করে, রাতের অন্ধকারে অযোগ্য ও বিতর্কিতদের দিয়ে দুই থানার কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি। এর আগেও তারা একই কায়দায় ৩ থানার কমিটি দিয়েছিলেন। তাঁরা কারও মতামত না নিয়ে স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে সংগঠন চালাচ্ছেন। এসব কারণেই আমরা তাদের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছি। এসব অসাংগঠনিক কর্মকান্ডকে প্রতিহত করতে আমরা সবাই একমত হয়েছি।’

‘এর মধ্যে আমরা কেন্দ্রের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে এই বিষয়ে ফোনে জানিয়েছি। কাল সবাই আবারও বসবো। এর মধ্যে যদি নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক তাদের ভুলগুলো সংশোধন করে না নেয় তাহলে আরও কঠোর কর্মসূচিতে যাব।’

শুক্রবার (৬ ফেব্রুয়ারি) অনাস্থা জ্ঞাপনকারী নেতৃবৃন্দরা হলেন- নগর কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি মো. তালেব আলী, সহসভাপতি ফারুক ইসলাম, আবদুল খালেক, একরামুল হক রাসেল, মো. জয়নাল উদ্দীন জাহেদ, মইনুল হাসান চৌধুরী শিমুল, শাহীন মোল্লা, সৌমেন বড়ুয়া, আমজাদ হোসেন, দিদারুল আলম, শহিদুল ইসলাম শহীদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রিয়াজুল করিম বিলাস, সুজন বর্মণ, অমিতাভ চৌধুরী বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক ইরফানুল আলম জিকু, খোরশেদ আলম, সাইফুল ইসলাম, শিক্ষা ও পাঠচক্র কবির আহমদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক গিয়াস উদ্দীন জেবিন, অর্থ সম্পাদক হাসানুল আলম চৌধুরী সবুজ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আরিফুর ইসলাম, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক ওয়াহিদুর রহমান কিরণ, ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক আবুল মনসুর টিটু, গণশিক্ষা সম্পাদক ওসমান গনি বাপ্পী, ছাত্রবৃত্তি সম্পাদক মিন্টু কুমার দে, সাহিত্য সম্পাদক হাসিব হাসান, স্কুল ছাত্র সম্পাদক মিয়া মো. জুলফিকার, নাট্য ও বিতর্ক সম্পাদক ফয়সাল বিন নিজাম, উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক সাজ্জাদ আলী, উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক রাসেল উদ্দীন তালুকদার, উপসাংস্কৃতিক সম্পাদক মোহাম্মদ বিন ফয়সাল, উপ-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক শেখ শরফুদ্দীন সৌরভ, উপসমাজসেবা সম্পাদক এসইউ জোবায়ের, উপক্রীড়া সম্পাদক আবদুল আল মামুন, উপপরিবেশ সম্পাদক, তুষার চন্দ্র ধর, উপধর্ম সম্পাদক এমআর হৃদয়, উপযোগাযোগ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, উপনাট্য সম্পাদক মনির আলম, সহসম্পাদক সাব্বির সাকির, আবদুল্লাহ আল মামুন, জাকারিয়া হাবিব জাবির, সদস্য আনিসুর রহমান মুন্না, ইমাম উদ্দীন, ফাহাদ আসিফ, মমশাদ হোসেন রাব্বী ও আসিফ খান আরাফাত।

এআরটি/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!