ইভিএমে ভোট দেবেন যেভাবে (ভিডিওসহ)

আঙ্গুলের ছাপ দিলেই ভেসে উঠবে আপনার পরিচয়। যা প্রিজাইডিং কর্মকর্তা দেখে নিশ্চিত হলে আপনাকে পাঠাবেন ভোটদানের গোপন কক্ষে। সেখানে প্রার্থী দেখে একবার বোতাম এবং এরপর সবুজ বোতাম চাপলেই দেওয়া হয়ে যাবে ভোট। ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে এবারই প্রথমবারের মত ভোটাররা ব্যবহার করার সুযোগ পাচ্ছেন।

ভোটার যেভাবে শনাক্ত হবেন
ভোট কেন্দ্রের নির্ধারিত কক্ষে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্টকার্ড, আঙুলের ছাপ, ভোটার নাম্বার যাচাই করে ভোটার হিসেবে নিশ্চিত করবেন। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনটির একটি অংশে ভোটারের আঙুলের ছাপ দেওয়ার জায়গা আছে। সেখানে আঙুলের ছাপ দেওয়া হলে ভোটারের পরিচয় নিশ্চিত হবে। আঙুল ছাড়াও জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর এন্ট্রি দিয়ে ভোটারের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যাবে। ভোটার পরিচয় নিশ্চিত হলে আপনার ছবি ও তথ্যাবলী একটি মনিটরে দেখা যাবে। মনিটরটি ভোটকক্ষের এমন স্থানে স্থাপন করা হবে, যেখান থেকে ভোটারের পরিচয় সম্পর্কে রিটার্নিং কর্মকর্তা, সকল প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট ও ভোটার নিজে দেখতে পারবেন।

ভোট দেবেন যেভাবে
ভোটার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেলে ভোটারকে ভোট দেওয়ার গোপন কক্ষে পাঠানো হবে। সেখানে প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার জন্য ব্যালট যন্ত্র থাকবে। ভোটারের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেলে ব্যালট যন্ত্রের মনিটর স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ শুরু করবে। তখন বিভিন্ন প্রার্থীর নাম এবং প্রতীক দেখা যাবে। অন্য সময় এই যন্ত্র নিষ্ক্রিয় হয়ে থাকবে।

ব্যালট যন্ত্রে প্রত্যেক প্রার্থীর নাম ও প্রতীকের পাশে আলাদা সাদা বোতাম থাকবে। বোতামে চাপ দিলে যন্ত্র থেকে স্বয়ংক্রিয় বার্তায় বলা হবে, ‘আপনার পছন্দের প্রতীক নিশ্চিত হলে সবুজ বাটন চাপুন’। এরপর নিচে থাকা সবুজ বোতাম চেপে ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।

যদি ভুল বোতামে চাপ পড়ে
কোনো ভোটার যদি ভুলে অন্য প্রতীকের পাশের বোতামে চাপ দিয়ে ফেলেন, তাহলে সবুজ বাটন চাপ দেওয়ার আগে তা সংশোধন করতে পারবেন। ভুল সংশোধনের আগে ডানপাশের লাল বাটনে চাপ দিন। এতে ভুল করে দেওয়া পূর্বের ভোটটি বাতিল হয়ে যাবে। ঠিকভাবে পুনরায় প্রতীকের পাশের বাটনে চাপ দিয়ে সবুজ বাটনে চাপ দিয়ে ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। এভাবে নিশ্চিত হওয়ার আগে দুবার বদলানোর সুযোগ পাওয়া যাবে। তবে তৃতীয়বার যে প্রতীকের পাশের বোতাম চাপা হবে, ভোট সেই প্রার্থীকে দেওয়া হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হবে।

ভোটার যখন ভোট দিতে কক্ষে ভেতরে থাকবেন, তখন বাইরের মনিটরে লেখা থাকবে, ‘ভোট গ্রহণ চলছে’। ভোট দেওয়া সম্পন্ন হলে বাইরের মনিটরে, মোট ভোটারের সংখ্যা এবং যতজন ভোট দিয়েছেন, তাদের সংখ্যা দেখা যাবে। ফলে এর বাইরে কোনো ভোট এলে পোলিং এজেন্ট সঙ্গে সঙ্গে বুঝতে পারবেন। একই ভোটার যদি আবার ভোট দিতে আসেন, তবে যন্ত্র জানাবে যে তার ভোটটি ইতিমধ্যে দেওয়া হয়েছে এবং জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টায় ভোটারকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে সোপর্দ করার নির্দেশ রয়েছে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!