চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালীর পাথরঘাটা বান্ডেল রোডের সেবক কলোনিতে গ্যাসের চুলার আগুনে দগ্ধ তিন মেয়ে হারানো মিঠুন-আরতি দম্পতির হাতে ব্যক্তিগত অনুদান তুলে দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
এই সময় আরতি-মিঠুন দম্পতিকে সান্ত্বনা জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘আপনারা তিন সন্তানকে হারিয়েছেন, এই ক্ষতি পূরণ হওয়ার নয়। সন্তানের এমন চলে যাওয়া কোনো বাবা-মায়ের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব না। এত বড় বেদনা আর হতে পারে না। মহান সৃষ্টিকর্তা আপনাদের এই শোক সহ্য করার শক্তি ও ধৈর্য দিন।’
রোববার (১৬ জুলাই) শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে সেবক কলোনিতে উপস্থিত হন মেয়র।
জানা গেছে, নগরীর পাথরঘাটা বান্ডেল রোডের সেবক কলোনিতে থাকতেন পরিচ্ছন্নকর্মী মিঠুন দাস ও আরতি দাস। গত ২০ জুন সকালে রান্নার চুলার গ্যাসের আগুনে দগ্ধ হয় এই দম্পতির চার মেয়ে। চট্টগ্রাম ও ঢাকার হাসপাতালে দুই মেয়ের মৃত্যুর পর বুধবার সকালে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে মারা যান তৃতীয় মেয়ে ছয় বছর বয়সী হ্যাপি দাশ।
ঘটনার দিন সকালে আরতি ও মিঠুন দুইজনই কাজে বেরিয়েছিলেন। এই সময় তাদের চার মেয়েই ঘরে ছিল। বড় তিনজনকে তারা বলে গিয়েছিলেন, তিন বছর বয়সী মেয়ে সুইটিকে দুধ খাওয়াতে। সকালে দুধ গরম করতে গিয়ে গ্যাসের চুলার আগুন লেগে যায়, আর তা থেকেই দগ্ধ হয় তাদের তিন সন্তান।
এদিকে সেবকদের জন্য বান্ডেল কলোনিতে তিনটি বহুতল ভবনের কাজ পরিদর্শন করেন মেয়র। এই সময় তিনি বলেন, ‘সেবকদের নিরাপদ জীবন উপহার দিতে এই প্রকল্প দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। নগরীকে পরিচ্ছন্ন রাখতে যে সেবকরা দিন-রাত শ্রম দেন, তাদের জীবনকে সুন্দর করতে আমি সচেষ্ট আছি। পুরো সেবক কলোনিতে কোনো ঝুকিপূর্ণ অবৈধ বিদ্যুৎ বা গ্যাসের সংযোগ আছে কী-না তা পরীক্ষার পর অপসারণ করা হবে।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, পুলক খাস্তগীর, মেয়রের একান্ত সচিব ও প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা আবুল হাশেম, রাজনীতিবীদ ও প্রাবন্ধিক ড. মাসুম চৌধুরী, সহকারী প্রকৌশলী আবদুল্লাহ মো. হাশেম।
বিএস/ডিজে