আওয়ামী লীগ ৬, বিএনপি-জামায়াত ১১

আওয়ামী লীগ ৬, বিএনপি-জামায়াত ১১ 1ইমাম খাইর, কক্সবাজার : কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির বার্ষিক নির্বাচনে সভাপতি ও সম্পাদক পদসহ মোট ৬ পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেল বিজয় হয়েছে। তিনটি সম্পাদকীয় পদসহ ১১ পদে জয়ী হন বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্যানেল।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) রাত সাড়ে ১০টার দিকে আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা দেন নির্বাচন কমিশনার। আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ মনোনীত প্যানেল থেকে নির্বাচিতরা হলেন- সভাপতি মোহাম্মদ ইছহাক-১, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জিয়া উদ্দিন আহমদ, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ জাকারিয়া, নুরুল আমিন, সহ-সাধারণ সম্পাদক (হিসাব) রাহামত উল্লাহ এবং সদস্য পদে আমজাদ হোসেন।
অন্যদিকে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্যানেল থেকে নির্বাচিতরা হলেন সহ-সাধারণ সম্পাদক (সাধারণ) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, পাঠাগার সম্পাদক মোহাম্মদ শামীমুল ইসলাম, আপ্যায়ন ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছৈয়দ আলম।
সাধারণ সদস্য পদে বিজয়ীরা হচ্ছেন- আবুল কালাম ছিদ্দিকী, মোহাম্মদ আবুল আলা, ছৈয়দ আলম, সব্বির আহমদ, মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম (টিপু), এ.এইচ.এম শাহজাহান, মোস্তাক আহমদ চৌধুরী এবং মোহাম্মদ গোলাম ফারুক খান (কায়সার)।
জেলা বারের দ্বি-তলায় শনিবার সকাল দশটায় ভোট গহণ শুরু হয়ে বেলা দুইটায় ভোট নেয়া শেষ হয়। আইনজীবীরা সুশৃঙ্খলভাবে ভোট প্রদান করে। ভোটগ্রহণকালে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়নি। মোট ৬৫২ ভোটারের মধ্যে ভোট পড়ে ৬০৫টি। অনুপস্থিত ভোটের সংখ্যা ৪৭টি। প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ও আইনজীবীদের উপস্থিতিতে বিকাল ৩টা থেকে গননা শুরু হয়।
৭ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন কমিশনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন প্রবীন আইনজীবী এম. শাহজাহান। সহকারী নির্বাচন কমিশনার ছিলেন এডভোকেট শ্যামল কান্তি চৌধুরী। সদস্য হিসেবে ছিলেন এডভোকেট নুরুল আলম, এডভোকেট মোহাম্মদ বাকের, এডভোকেট রাশেদুল ইসলাম, এডভোকেট ফরিদ আহমদ ও এডভোকেট সিরাজ উল্লাহ।
এদিকে নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকে কোন প্যানেল ঠিক এগিয়ে যাচ্ছে তা সহজেই অনুমান করতে পারছিলনা ভোটাররা। এমনকি সভাপতি-সম্পাদক পদেও তুমুল হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলে। প্রচারণায় কেউ কারো চেয়ে কম ছিলনা। দক্ষতা-যোগ্যতায় প্রায় প্রার্থী সমানে সমান। তবে, ভোটের শেষের দিন বিএনপি-জামায়াত প্যানেলের সভাপতি সম্পাদক সামান্য এগিয়ে থাকলেও নাটকীয়ভাবে মোড় ঘুরে যায়। এটির প্রভার ভোটারদের ব্যালটে পড়েছে। এতে বিগত বারের সভাপতি ও দ্বিতীয় মিয়াদে নির্বাচিত সভাপতি মোহাম্মদ ইসহাক এর ‘ক্যারিশমেটিক প্রচারণা’ হয়েছে বলে মনে করছেন ভোটাররা। এ দুই পদের প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা পিছিয়ে ছিলেন। তা শেষ বেলায় অনেকেই অনুভব করতে সক্ষম হন। বিএনপি-জামায়াত মনোনীত প্যানেল থেকে অন্যান্য ১১ পদে বিজয়ের অন্যতম কারণ ঐক্য।
প্রসঙ্গত, জেলা আইনজীবী সমিতি ১৯০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৬ সালের বর্ষের কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন ২৭ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত হয়। এতে যৌথভাবে সভাপতি নির্বাচিত হন আবুল কালাম ছিদ্দিকী ও মোহাম্মদ ইছহাক-১। আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেল থেকে আ.জ.ম মঈন উদ্দিন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। সমিতির বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৬৫২ জন। সেখানে নতুন অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ৬৭ জন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!