অর্ধনগ্ন ছবি দেখিয়ে পোশাক কর্মীকে ধর্ষণের চেষ্টা, পুলিশের কব্জায় যুবক

চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার থানার ডিসি রোডের একটি কলোনিতে পাশাপাশি ঘরে ভাড়া থাকতো হাবিব ও রিমা নামে এক পোশাক কর্মী। প্রায়ই সময় কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার সময় অনৈতিক প্রস্তাব দিত হাবিব। বারণ করা সত্ত্বেও অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়া থেকে পিছুপা হয়নি যুবক হাবিব। শেষ পর্যন্ত রিমার অর্ধনগ্ন ছবি ধারন করে তাকে ধর্ষণ চেষ্টা করে। এ অভিযোগে তাকে আটক করেছে পুলিশ।

রোববার (৬ জুন) পর্নোগ্রাফি আইনে অভিযোগ করার পর হাবিবুর রহমানকে (২৩) আটক করে চকবাজার থানা পুলিশ। হাবিব চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি থানার ইব্রাহিম মিয়া বাড়ির শফিকুল ইসলমের ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বাদি রিমা ও আসামি হাবিব পাশাপাশি বাসায় বসবাস করত। সেই সুবাদে তাদের পরিচয় ঘটে। মাঝে মাঝে বিভিন্ন অজুহাতে হাবিব বাদির বাসায় যাওয়া আসা করত। প্রায় সময় গার্মেন্টেসে যাওয়ার পথে রিমাকে দৈহিক মিলনের কু-প্রস্তাব দিত হাবিব। মঙ্গলবার (১ জুন) রাতে রিমা তার বাসায় খাওয়া দাওয়া শেষে বিশ্রাম নিচ্ছিল। হঠাৎ ঘরের দরজা নাড়ার শব্দ শুনে দরজা খুলে দেখেন হাবিব তার বাসার দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। এত রাতে বাসায় আসার কারণ জিজ্ঞাসা করলে সে রিমাকে বলে তাহার সঙ্গে একান্ত কিছু কথা আছে। রিমা কি কথা জানিতে চাইলে সে আবারও দৈহিক মিলনের প্রস্তাব দেয়। রিমা তাতে রাজি না হলে সে তার পকেটে থাকা মোবাইল সেটটি বের করে রিমার একটি অর্ধনগ্ন ভিডিও ও কিছু ছবি দেখায়। ওই ভিডিও ও ছবিগুলো দেখে রিমা বুঝতে পারে হাবিব রিমার অজান্তে কোন এক সময়ে পোষাক পরিবর্তনের সময় অর্ন্তবাস ও প্যান্ট পরা অবস্থার অর্ধনগ্ন ভিডিও ও ছবি গোপনে তুলে রাখে। এই সমস্ত ভিডিও ও ছবিগুলো দেখানোর পরে আসামি হাবিব রিমাকে হুমকি দিয়ে বলে যে, তার সঙ্গে দৈহিক মিলন না করলে ভিডিও ও ছবিগুলো সে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে দিবে।

এ ব্যাপারে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, রিমার অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা হাবিবকে আটক করি। এরপর তার মোবাইল জব্দ করে রিমার অর্ধনগ্ন ছবি উদ্ধার করা হয়। আগামী কাল সোমবার তাকে কোর্টে চালান করা হবে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

বিএস/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!