অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকালে কর্ণফুলীতে জাহাজ ডুবি

অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের সময় কণফুলী নদীর ব্রিজ এলাকায় এমভি সি ক্রাউন নামে একটি লাইটারেজ জাহাজ ডুবে গেছে। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ভোররাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে লাইটারেজ জাহাজ শ্রমিক নেতারা দাবি করছেন ঝড়ো হাওয়ায় জাহাজটি ডুবে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ব্রিজ ঘাটের পশ্চিম পাশে নদী থেকে পাথর উত্তোলন করে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ)খেলার মাঠে রাখার সময় আবু তাহেরের মালিকানাধীন মমতা ট্রেডিং এজেন্সির ‘এমবি সি ক্রাউন’ নামের জাহাজটি ডুবে যায়।

চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলন নামের একটি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আলিউর রহমান বলেন, ‘বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ভোরে এক পশলা বৃষ্টি হয়েছে। ঝড়ো বাতাস হয়নি। ডুবে যাওয়া জাহাজটি চরপাথরঘাটা সিডিএ খেলার মাঠে অবৈধভাবে পাথর নামাচ্ছিল। সেখানে লাইটারেজ জাহাজ বার্থিং করার কোন অবকাঠামো নাই। জাহাজের একপাশ থেকে পাথর খালাস করায় হঠাৎ জাহাজটি কাত হয়ে যায়। অন্য একটি লাইটারেজ জাহাজ এসে জাহাজটিকে সোজা করার চেষ্টা করতে গেলে এটি উল্টে কর্ণফুলী নদীতে ডুবে যায়।’

আলিউর রহমান অভিযোগ করে বলেন, কর্ণফুলী উপজেলার একমাত্র মাঠ সিডিএ খেলার মাঠ। যেখানে গত বারো বছর ধরে সাম্পান খেলা ও চাটগাঁইয়া সংস্কৃতি মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। তিনবছর ধরে কর্ণফুলী নদী থেকে অবৈধভাবে পাথর ও কয়লা উত্তোলন করে মাঠ দখল করা হয়েছে। এ তিনবছরে কয়লা পাথরের স্তুপের উপর মঞ্চ করে সাম্পান খেলা হয়েছে। বিষয়টি সিডিএ এবং বন্দর কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছ। কিন্তু কোন প্রতিকার হয়নি।

ডুবে যাওয়া লাইটারেজ জাহাজটিতে ১ হাজার ১০০ টন পাথর ছিল বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শেখ মো. ইছা মিয়া। জানতে চাইলে তিনি চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘রাত আড়াইটার দিকে ঝড়ো হাওয়ায় জাহাজটি ফেটে গেলে পরে চরে রাখা অবস্থায় জাহাজটি ভাটার পানিতে ডুবে যায়।’

অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন শেখ মো. ইছা মিয়া। পাথরগুলো অন্য স্থান থেকে আনা হয়েছিল বলে দাবি করেন তিনি।

এমএ/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!